রিজার্ভ সংকট ও বিদেশি ঋণের চাপে জর্জরিত পাকিস্তানে মাত্র ২০ দিনের চলার মতো জ্বালানি তেলের মজুত আছে। দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী মুসাদিক মালিক বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দীর্ঘ সামরিক শাসন, বছরের পর বছর ধরে প্রশাসনিক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার জেরে বর্তমানে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে পাকিস্তান। একটি দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য ধরে রাখতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো ডলারের মজুত থাকতে হয়; কিন্তু পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মাত্র দুই সপ্তাহের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ অবশিষ্ট আছে।
অবস্থা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, খাদ্য-ওষুধ-জ্বালানির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানি করতে গিয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। এই পরিস্থিতিতে একদিকে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জ্বালানি তেলের সংকট সম্পর্কিত বিভিন্ন ভুয়া তথ্যে সয়লাব হয়ে উঠছে; অন্যদিকে তেল বিক্রয়কারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ও ডিলাররও বাজারে তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ অর্থসংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এটা সত্যি, কিন্তু এখনও আরও ২০ চলার মতো জ্বালানি তেলের মজুত আমাদের আছে। যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ডিলার বাজারে জ্বালানি তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে, তাদেরকে সতর্কবর্তা দিয়ে বলছি— কোনো ডিলারের কোনো প্রকার অসদুপায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়, তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’