কয়েক দশকের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা ১ হাজার ৩০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। কেবল তুরস্কেই ৯০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। বাকিরা সিরিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন।
দুই দেশের কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বলছে, তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভোররাতে আঘাত হানা ৭ দমমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে ৯১২ জন নিহত ও আরও ৫ হাজার ৩৮৩ জন আহত হয়েছেন। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা কতটা বাড়তে পারে সেবিষয়ে কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভয়াবহ এই বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৪৫টি দেশ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন এরদোয়ান।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্ত লাগোয়া তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গজিয়ানতেপ শহরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্প অনুভূত হয় প্রতিবেশী সিরিয়া, লেবানন, সাইপ্রাস, ইসরায়েলেও।
সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৩২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার।
গত ৮ দশকের বেশি সময় পর রেকর্ড সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তুরস্কে। প্রতিবেশী সিরিয়াতেও প্রচণ্ড কম্পন অনুভূত হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্কে ২৮৪ এবং সিরিয়ায় ৩৮৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬শ।
কেবল তুরস্কেই প্রাণহানির সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস।
সংস্থাটি বলেছে, সোমবার ভোরে দক্ষিণ তুরস্কে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং এটি এক লাখে পৌঁছারও কিছুটা আশঙ্কা আছে।