পশ্চিম আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ নাইজেরিয়ার কাতসিনা প্রদেশে সশস্ত্র ডাকাত ও স্থানীয় গ্রামরক্ষী সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন। সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাতসিনা প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র গাম্বো ইসাহ।
ইসাহ জানান, বৃহস্পতিবার কাতসিনার বাকোরি অঞ্চলের একটি গ্রামে অতর্কিত হামলা চালায় সশস্ত্র একটি ডাকাতদল। এই হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রামবাসীর গবাদি পশু লুট করা।
ডাকাত দল যখন লুট করা গরু-ভেড়া এক জায়গায় জড়ো করতে ব্যস্ত ছিল, সেসময়ই স্থানীয় গ্রামরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সংঘাত বাঁধে তাদের এবং দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের জেরে প্রাণ হারান নিহতরা।
গাম্বো ইসাহ বলেন, ‘বর্তমানে ওই গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে এবং এই ডাকতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে কাতসিনা পুলিশ।’
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্বল প্রশাসনের সুযোগ নিয়ে গত দু’দশকে নাইজেরিয়াজুড়ে গড়ে উঠেছে অজস্র ছোট-বড় অস্ত্রধারী গোষ্ঠী। স্থানীয় জনগণের কাছে ‘ডাকাত’ নামে পরিচিত এই গোষ্ঠীগুলো মূলত অস্ত্রের মুখে লুটপাট, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ইত্যাদি অপরাধমূলক তৎপরতার সঙ্গে ব্যাপকভাবে সংশ্লিষ্ট।
নাইজেরিয়ার যেসব প্রদেশে এই ডাকাতদের তৎপরতা সবচেয়ে বেশি সেসবের মধ্যে অন্যতম কাতসিনা।
নাইজেরিয়ার সাবেক সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি গত আট বছর ধরে দেশটির রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের দায়িত্বে আছেন। ডাকাত দল নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন বুহারি, তবে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তিনি প্রায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে নাইজেরিয়ায়। ডাকাতদের হাত থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি সেই নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
সূত্র : আলজাজিরা