ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ২০০২ সালে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে হওয়া গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে ‘দ্য মোদি কোশ্চেন’ নামে বিবিসির প্রকাশিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ভারত। এবার তথ্য সম্প্রচারকারী সংস্থা বিবিসিকে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে।
ভারত এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘বৈষম্যমূলক’ আচরণ করেছে বিবিসি— এমন অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদির ওপর তৈরি তথ্যচিত্রটি ভারত ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ‘হিন্দু সেনা’ সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত ও বীরেন্দ্রকুমার সিংহ নামের একজনের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে মামলাটি করা হয়েছে।
আবেদনটিকে জরুরি তালিকাভুক্তির জন্য আবেদনকারীদের শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
বিবিসি ও সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেও আদালতে একটি মামলা হয়েছে। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চে আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে বিবিসির তথ্যচিত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেও পাল্টা আবেদন করা হয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ওই আবেদনের শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ব্রিটেনে প্রবাসী ভারতীয়রা বিবিসি এবং ওই তথ্যচিত্রটি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পর সে দেশের সরকার জানিয়েছে, এই সংস্থা সম্পূর্ণভাবে ‘স্বাধীন’।
বিবিসিতে ‘দ্য মোদি কোশ্চেন’ নামের তথ্যচিত্র নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তির কথা জানিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। নিষিদ্ধও করা হয়েছে তথ্যচিত্রটি। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছে, তথ্যচিত্রটি ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তৈরি হয়েছে। যদিও বিবিসির দাবি, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। মোদি সরকারের ওই পদক্ষেপকে বিরোধী দলের নেতারা ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করার পরও ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যচিত্রটি দেখানো হচ্ছে।