পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ৩৩টি আসনে আগামী মার্চে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) আইনপ্রণেতারা ২০২২ সালের এপ্রিলে এসব আসন থেকে পদত্যাগ করেন। এ বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। এরপর আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করা হয়।
পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশী রোববার (২৯ জানুয়ারি) জানিয়েছেন, মার্চে হতে যাওয়া এ নির্বাচনের ৩৩টি আসনের সবগুলোতেই একা লড়বেন দলীয় প্রধান ইমরান খান।
রোববার রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে শাহ মাহমুদ কোরেশী বলেন, ‘আমরা উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ইমরান খান সব আসনে একা নির্বাচন করবেন।’ তিনি জানান, রাজনীতির মাঠ ফাঁকা রাখবে না পিটিআই।
শুক্রবার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দেয় আগামী ১৬ মার্চ জাতীয় পরিষদের ৩৩টি শূন্য আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় পরিষদের স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
২০২২ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের আটটি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনেও পিটিআইয়ের হয়ে একা নির্বাচন করেন ইমরান খান। যার মধ্যে ছয়টিতে জয় পান তিনি।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, যে কেউ একাধিক আসনে নির্বাচন করতে পারবেন। তবে একের অধিক আসনে জয় পেলে একটি আসন বাদে সবগুলো ছেড়ে দিতে হবে।
ইমরান খান ৩৩টি আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মূলত তার জনপ্রিয়তা যাচাই করতে।
এদিকে ২০২২ সালের ৯ এপ্রিল আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান। এর দুইদিন পর পিটিআইয়ের ১২৩ আইনপ্রণেতা পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন। তারা স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমাও দেন। কিন্তু দীর্ঘ আট মাস এসব পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি স্পিকার।
তবে ইমরান খান যখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের বিরুদ্ধেই আস্থা ভোট আয়োজনের হুমকি দেন তখন তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ শুরু হয়।
প্রথমে ১৭ জানুয়ারি গৃহীত হয় ১৭ জনের পদত্যাগপত্র। এরপর ২০ জানুয়ারি আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রধান শেখ রশিদসহ আরও ৩৫ জনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়।
সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি আরও ৪৫ আইনপ্রণেতার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার কথা জানান স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ।
সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পিকে