পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদীদের এক সিনাগগে (ইহুদিদের উপাসনালয়ে) বন্দুক হামলায় জড়িত সন্দেহে ৪২ জনকে গ্রেফতারর করেছে ইসরায়েল পুলিশ। শুক্রবারের (২৭ জানুয়ানর) ওই হামলায় সাত ইসরায়েলি নিহত ও অন্তত তিনজন আহত হন।
এদিকে, শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ইসরায়েলি পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ওল্ড সিটির পাশ্ববর্তী শহর সিলওয়ানে আরেকটি হামলায় দুই ইসরায়েলি ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। এ হামলায় জড়িত সন্দেহে ১৩ বছরের এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
ইসরায়েলি পুলিশ আরও জানায়, শনিবার পাঁচ ইহুদি প্রার্থনার জন্য সিনাগগ যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এক কিশোর তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে এক বাবা ও তার ছেলে গুরুতর আহত হন। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ দুটি হামলার পর ইসরাইলের সন্ত্রাস দমন ইউনিটের কর্মকর্তারা জেরুজালেম এলাকায় স্থায়ীভাবে অবস্থান করছেন। শুক্রবার উপাসনালয়ে হামলাকারী ব্যক্তি পূর্ব জেরুজালেমের একজন ফিলিস্তিনি বলে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। হামলাকারীর নাম-পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়েছে।
ইসরায়েলি পুলিশ কমিশনার কোবি শাবতাই বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর এত বড় হামলার ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো এ হামলার প্রশংসা করেছে। তবে হামলাকারীকে তাদের সদস্য বলে দাবি করেনি তারা। বৃহস্পতিবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর থেকে উত্তেজনা বেড়েছে।
শুক্রবার ছিল আন্তর্জাতিক হলোকাস্ট স্মরণ দিবস। এদিন সাবাথের প্রার্থনায় যোগ দেওয়ার জন্য ইহুদি ধর্মানুরাগীরা সিনাগগটিতে উপস্থিত হয়েছিলেন। রাত সোয়া ৮টার দিকে প্রার্থনাকারীরা যখন সিনাগগটি থেকে বেরিয়ে আসছিলেন, তখন এক বন্দুকধারী সেখানে উপস্থিত হয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করেন। পরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ওই বন্দুকধারী নিহত হন।
১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর নেভ ইয়াকভ শহরটিকে জেরুজালেমের সঙ্গে যুক্ত করে ইসরায়েল। তবে ফিলিস্তিনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটিকে ইসরায়েলের অবৈধ দখল বলে আসছে।
এদিকে গাজায় হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম রয়টার্সকে বলেন, শুক্রবারের এই হামলা ছিল ইসরায়েলি দখলদারদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। কারণ এর আগে দখলদাররা জেনিন শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায়।
সূত্র: বিবিসি