ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় রক্তাক্ত দখলকৃত পশ্চিম তীর। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অবৈধ অভিযানে ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হন আরও কয়েকজন। এমন দাবি করে বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত এক মাস ধরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে পশ্চিম তীরে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অভিযান চলছে ইসরায়েলের। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় ইসরায়েলের সামিরক বাহিনী বিস্তারিত উল্লেখ না উল্লেখ করে জানিয়েছে, অভিযান অব্যাহত আছে। এদিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত এলাকাটিতে। নিহতদের মধ্যে একজন জঙ্গি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মে আল কায়লা জানান, গুলিবিদ্ধ গুরুত্ব আহতদের জীবন বাঁচাতে সর্বচ্চো চেষ্টা চালাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি সেনারা কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছোড়ে। এতে নারী, শিশুসহ বৃদ্ধারাও আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে ইসরায়েলের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ফিলিস্তিনের ওপর হামলাকে নৃশংস ঘটনা অ্যাখ্যা দিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নাবিল আবু রুডিনে। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে। তবে বৃহস্পতিবারের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘দখলদার বাহিনী জেনিনে একটি সরকারি হাসপাতালে হামলা চালায় এবং ইচ্ছাকৃতভাবে হাসপাতালের শিশু বিভাগে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।’
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের অবিভাজ্য রাজধানী বলে দাবি করে থাকে ইসরায়েল। অবশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবেচ স্বীকৃতি দেয়নি। ১৯৬৭ সালের পর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ১শরও বেশি বসতি স্থাপন করেছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এ বসতি স্থাপনকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হলেও ইসরায়েল তা মানতে চায় না।