নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ক্রিস হিপকিন্স। গত সপ্তাহে সবাইকে অবাক করে হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন জেসিন্ডা আর্ডারন।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানী ওয়েলিংটনে একটি অনুষ্ঠানে ৪৪ বছর বয়সী ক্রিস হিপকিন্সকে শপথ বাক্য পাঠ করান নিউজিল্যান্ডের গভর্নর জেনারেল।
আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর হিপকিন্স বলেছেন, ‘এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান ও দায়িত্ব। আসন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি উজ্জীবিত এবং উদ্দীপ্ত।’
গত সপ্তাহে নারী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডারন জানান, তিনি তার দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন। এখন নতুন করে আর কিছু দেওয়ার নেই। জেসিন্ডা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন নিউজিল্যান্ড প্রত্যক্ষ করেছে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা (ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে ৫১ জনকে গুলি করে হত্যা), করোনা মহামারি ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যেগুলো বেশ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্থানীয় সময় বুধবার শেষবারের মতো সংসদে আসেন জেসিন্ডা। তিনি বের হয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানান।
এদিকে জেসিন্ডা প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন ২০১৭ সালে। এরপর ২০২০ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বার আবার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
তবে গত দুই বছরে জেসিন্ডার মধ্য-ডানপন্থি দলের জনপ্রিয়তা কমছে। মূলত নিউজিল্যান্ডে মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক মন্দা এবং বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির শক্ত অবস্থানের কারণে তাদের সমর্থন কমেছে।
জেসিন্ডা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ক্রিস হিপকিন্স নিউজিল্যান্ডে করোনা মহামারি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এখন তিনি নিজ দলের সমর্থন বাড়ানোর দায়িত্ব পালন করবেন।
ক্রিস হিপকিন্সকে তার কাছের লোকেরা ‘চিপি’ নামে ডাকেন। তিনি নিজেকে একজন সাধারণ কিউই হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি এসেছেনও একটি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে। তার পছন্দের খাবার সসেজ। এছাড়া সাইকেল চালিয়ে অফিসে যেতে ভালোবাসেন তিনি।
এদিকে জেসিন্ডা প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়লেও একজন সাধারণ সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, রাজনীতি থেকে নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নেবেন। এছাড়া নিজের সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডকে বিয়ে করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
সূত্র: এএফপি