পশ্চিমাদের সরবরাহ করা অস্ত্র দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে ইউক্রেন মজুত করছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। সোমবার বিদেশি রাষ্ট্রে গোয়েন্দা তৎপরতা পরিচালনাকারী রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এসভিআর এই অভিযোগ করেছে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে কোনও ধরনের প্রমাণ সরবরাহ করতে পারেনি এসভিআর। রাশিয়ার এই দাবির সত্যতাও যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এক বিবৃতিতে এসভিআর বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত হাইমার্স রকেট লঞ্চার, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং আর্টিলারি গোলাবারুদ ইউক্রেনের উত্তর-পশ্চিমের রিভনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে মজুত করা হয়েছে।
ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে এমন অঞ্চলে পশ্চিমাদের দেওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংরক্ষণ করছে। গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে রিভনে বিদ্যুৎকেন্দ্রে পশ্চিমাদের অস্ত্রের একটি চালান পৌঁছায় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সৈন্যরা। এই সংঘাত শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের অনেক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
রাশিয়ার সৈন্যদের আক্রমণের ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে রুশ বাহিনী বিলুপ্ত চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দখল নেয়। একই সঙ্গে একেবারে যুদ্ধের শুরুর দিকে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপোরিঝিয়াও দখল করে রুশ সৈন্যরা।
পরে জাপোরিঝিয়ায় গোলাবর্ষণের জন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে কিয়েভ এবং মস্কো। ইউক্রেন বলছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দখলে নেওয়ার পর রাশিয়া সেটিকে অস্ত্র মজুতের কারখানা হিসাবে ব্যবহার করছে।
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় হামলার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সূত্র: আনাদোলু, এনডিটিভি।