২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে টুইটারের মালিকানা বুঝে নেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। এরপর থেকেই নিম্নগামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির অবস্থা।
সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি-র প্রতিবেদনে বলা হয়, মাস্ক টুইটার কেনার আগে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করতো ৭,৫০০ জনের মতো। যেখানে বর্তমানে সার্বক্ষণিক কাজ করছে মাত্র ১৩০০ জন কর্মী। এরমধ্যে প্রকৌশলী আছেন মাত্র ৫৫০ জনেরও কম।
টুইটারের নিরাপত্তা দলে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন মাত্র ২০ জন কর্মী।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, টুইটারে এখন চুক্তির বাইরে কাজ করছেন ১৪০০ জন। মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন অনেকেই। এছাড়া ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর ই-মেইল করে অনেককেই ছাঁটাই করেন ইলন মাস্ক।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এই বিভাগের কর্মীরা বিদ্বেষ ও হয়রানিমূলক টুইট সংশোধন (মডারেশন) করার কাজ করতেন।
ওই সময় টুইটারে কাজ করার জন্য মাস্কের অন্য দুই প্রতিষ্ঠান টেসলা ও স্পেসএক্স থেকে ১৩০ জন কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পর টুইটারের আয় নেমে এসেছে তলানিতে। তার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে টুইটারের শীর্ষস্থানীয় ৫০০ বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানটি থেকে সরে যান।
এরই জেরে গত ১৭ জানুয়ারি টুইটারের দৈনিক আয় এক বছর আগের একই দিনের তুলনায় ৪০% কম ছিল।
এরমধ্যে শুধু এ বছরে প্রতিষ্ঠানটি এই বছরের প্রথমার্ধে তিন ডজনেরও বেশি সংবাদমাধ্যম, মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ও স্পোর্টস লিগের সঙ্গে স্পনসরশিপ চুক্তি করেছে।
সম্প্রতি টুইটার ত্যাগ করা এক প্রকৌশলী সিএনবিসিকে বলেন, এটি বড় প্রতিষ্ঠান। অল্প কর্মী দিয়ে ব্যবস্থাপনা দুরূহ। ফলে প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক কমতে থাকলে এটি ঠিক কতটা এগোতে পারবে সেটা ভবিষ্যতই বলে দেবে।