পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় মার্কিন সামরিক হামলায় প্রায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই ইসলামপন্থি আল শাবাব জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য। সোমালিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর গালকাডের কাছে মার্কিন সামরিক হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
মূলত সোমালিয়ার সেনাবাহিনী ওই এলাকায় ভারী লড়াইয়ে নিযুক্ত ছিল। মার্কিন সামরিক বাহিনীর আফ্রিকা কমান্ড এক বিবৃতিতে এই তথ্য সামনে এনেছে বলে রোববার (২২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার রাজধানী মোগাদিশু থেকে প্রায় ১৬২ মাইল (২৬০ কিলোমিটার) উত্তরে মার্কিন বাহিনীর হামলার ঘটনা ঘটে। মার্কিন সামরিক বাহিনী এই অভিযানকে ‘সম্মিলিত আত্মরক্ষামূলক হামলা’ হিসাবে অভিহিত করেছে।
মার্কিন বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মোগাদিশুর উত্তরে ওই এলাকায় সোমালি জাতীয় বাহিনী শতাধিক আল শাবাব যোদ্ধার আক্রমণের শিকার হয়েছিল।
আফ্রিকা মহাদেশে আমেরিকান সরকারের সামরিক শাখা ইউএস আফ্রিকা কমান্ড বলেছে, তাদের হামলায় কোনও বেসামরিক লোক আহত বা নিহত হয়নি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামলায় তিনটি গাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, আল শাবাব যোদ্ধারা গত শুক্রবার গালকাডে একটি সোমালি সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ করে এবং কমপক্ষে সাত সেনাকে হত্যা করে। যোদ্ধারা গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ এবং গুলিবর্ষণ করলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়।
সোমালিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আল শাবাব সাত সৈন্যকে হত্যা করলেও তাদের সৈন্যরা পাল্টা হামলা চালিয়ে কট্টরপন্থি এই গোষ্ঠীটির ১০০ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং টেকনিক্যাল হিসাবে পরিচিত বন্দুকবাহী পাঁচটি পিক-আপ গাড়ি ধ্বংস করেছে।
মূলত আল শাবাব ২০০৬ সাল থেকে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পতন এবং ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে।
উল্লেখ্য, সোমালিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে এক দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করছে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার অনুসারি আল-শাবাব। সোমালিয়ায় ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় এই জঙ্গিগোষ্ঠী।
এ কারণে আল-শাবাবের সদস্যরা প্রায়ই দেশটির সামরিক ঘাঁটি, হোটেল ও ব্যস্ত সড়কে বেসামরিক নাগরিক এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বোমা ও বন্দুক হামলা চালিয়ে থাকে।