নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের একমাত্র মনোনীত প্রার্থী ক্রিস হিপকিন্স। নিউ জিল্যান্ডের পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। আগামী রবিবার (২২ জানুয়ারি) হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে লেবার পার্টির আনুষ্ঠানিক সমর্থন পেতে হবে তাকে।
৪৪ বছর বয়সী জন হিপকিন্স ২০০৮ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২০ সালে করোনা মহামারির চূড়ান্ত সময়ে মন্ত্রী হিসেবে তার কাঁধে গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়।
হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে তিনি সমর্থন পেলে প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন গভর্নর জেনারেলের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। এরপর রাজা তৃতীয় চালর্সের পক্ষে হিপকিন্সকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দেবেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। অশ্রুভেজা চোখে আরডার্ন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার কঠিন সাড়ে পাঁচটি বছর ছিল এবং আমি কেবল একজন মানুষ ছিলাম এবং আমাকে সরে যেতে হবে। আমি জানি এই সিদ্ধান্তের পরে অনেক আলোচনা হবে। আমার মনে হচ্ছে, প্রায় ছয় বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে নিজের সবটুকু দিয়েছি। নতুন করে আর কিছু করার নেই। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
দেশের নেতৃত্ব অব্যাহত রাখতে তিনি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন। এবং দেশটির সাধারণ নির্বাচনেও আর অংশ নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি