প্রেম পাঠ্য নয় কেন
আতঙ্ক রহিত করে
বৈষম্য বিনাশক আশান্বিত করে
মিলনের মালা গাঁথে
সুখের ছড়ায় সৌরভ
গৌরব বাড়ায় মনুষ্যত্বের
এই জন্যই প্রেমের পাঠশালা নেই
প্রেম পাঠ্য নয় তাই
তাছাড়া ‘মুনাফা’ শব্দটা’র ফাঁসি হয় যাবে
বাণিজ্যে মন বসবে না অনেকের
প্রেমের পাগল বেড়ে গেলে বিত্ত বৈভবে
আসক্তি হারাবে
‘পর’ শব্দটারও অপমৃত্যু হবে
মানুষ ফিরে পাবে হারানো বন্ধন
প্রেম পাঠ্য নয় ব’লে
বিদেশ আর বর্ডার বেঁচে আছে আজও
মানুষের পৃথিবীতে অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তপাত
জঙ্গলে কেন কবি
কবি কেন এখানে ওখানে যায়
জঙ্গলে শ্রীমঙ্গলেইবা কেন
পত্র পল্লবের ফাঁক ফোঁকরে
খিলখিলে হাসির জো’স্নায়
স্নাত হতে হয়তো
হয়তো কবি’র বসন্ত বারো মাস তাই
পাথরকুচির পাতা
আমার একটা অকার্যকর চেহারা
দাঁড় করাতে চাচ্ছো সে আমি বুঝি
ব্যর্থ ক’রে তুলতে চাও বারবার আমাকে
আমি কী ওয়ান টাইম টুথ ব্রাশ
পাথর কুঁচির চির সবুজ পাতা হয়ে যে জন্মায়
সে তো ইতিহাসের উৎস হয়ে ওঠে
তুড়িতে তাড়ায় তামাশা
কবি তাই বয়ে চলে সাগরমুখী বহমান নদীর মত
এমন যেন না হয়
ভালো ছড়াকার ভালো মানুষ না
ভালো কবি ভালো মানুষ না
ভালো গীতিকার ভালো মানুষ না
ভালো অভিনেতা ভালো মানুষ না
ভালো নাট্যকার লেখক ভালো মানুষ না
ভালো সাহিত্যিক ভালো মানুষ না
ভালো শিক্ষক ভালো মানুষ না
ভালো কণ্ঠশিল্পী ভালো মানুষ না
ভালো মডেল তারকা ভালো মানুষ না
এমন যেন না হয়
ভালো মানুষ
প্রতিবাদের আগুন
পথের আলো চাঁদনী রাত
সততা’র সুগন্ধি গোলাপ
ভালো মানুষ মানুষের প্রেরণা
অসীম সাহস শক্তি আমাদের
খুলনা’র মিষ্টি
ক’দিন হলো মিষ্টি’র কথা
খু-উ-ব মনে পড়ছে, খুলনা’র মিষ্টি
মাঝে মাঝে এ’রকম মনে প’ড়ে যায়
মনে প’ড়ে যা জো’সনা স্নাত রাতে
আজকাল
বড্ড মনে পড়ে এ’রকম নানান কিছু
রূপসা ঘাটের এক চায়ের দোকানে
তেরোখাদায় যাবার পথে
কে যেন ব’লে উঠলো, ভুলে যাওয়া ভালো
কথাটি ঠিক আমাকে বলেনি
শুনে কষ্ট পেলাম যদিও
তারপরও খুলনা’র মিষ্টি
খুবই মিষ্টি মনে হয় আজও
আলোকিত একটা গ্রহের নাম
বৈষম্যের দাবানলে শান্তি’র সবুজ অরণ্য পুড়ে
উধাও হ’য়ে যাচ্ছে শুধু নজরুল নেই ব’লে
এখনও অবমূল্যায়নের নির্মমতা’র খরায়
শ্রমিকের সোনাঘাম জলের দামে বেচাকেনা হয়
হর হামেশায় তামাশা’র পাত্রী হয়ে ওঠে আমাদের জীবন
শুধু নজরুল নেই ব’লে
শিকাগো শহর কাঁদে
মহান মে দিবস ব্যর্থ হ’য়
অনিশ্চয়তার আধাঁর নেমে আসে
কল কারখানায় অনিয়মিত করণ হয় কাজ।
রেগুলার
শুধু পুঁজি বাড়ে পুঁজি পাচার হয় অলস টাকা তবুও
অথর্ব বৃদ্ধের মত পড়ে থাকে কুটিল কোন বারান্দায়
শুধু নজরুল নেই ব’লে
চিন্তা’র সজীব সতেজ শক্তিমান শরীর
ঘুমের বটিকা খেয়ে যেন বেঘোরে ঘুমায়
দাস দাসী হ’য়ে যায় কার যেন ইশারায়
মানুষ মানুষ থাকে না
স্বাধীন বিহঙ্গ হয় বারবার পরাধীন পাখি
শুধু নজরুল নেই ব’লে
অন্তরে বিপ্লবী আগুন আছে
সততা হীনতায় সাহস ম’রে যায়
দুর্নীতি’র হায়েনা খুবলে খায় শিক্ষিত সমাজ-শরীর
অসাম্প্রদায়িকতার নক্ষত্র ভাবনা এখনও লাঞ্ছিত
শুধু নজরুল নেই ব’লে
ধর্মব্যবসায়ী আর মুনাফাখোরের লোলুপ চোখ
তাদের বুকের সিন্দুকে ঘাপটি মেরে থাকে আজও
শুধু নজরুল নেই ব’লে
লকাজী নজরুল ইসলাম
আলোকিত একটা গর্বিত গ্রহের নাম
আমরা তাঁর বাসিন্দা হ’লে
অশান্তি’র অন্ধকার কেটে যেত
ঋদ্ধ সমৃদ্ধ হতাম প্রাঞ্জ পৃথিবী পেতাম
জঞ্জাল স’রে যেত সঙ্কীর্ণতা’র
যেন মনে হয় নজরুল নেই ব’লে
যত ঝঞ্জাট কূপমণ্ডুকতা
প্রেমহীন পৃথিবী কখনও কখনও
শুধু নজরুল নেই ব’লে