পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোয় অন্তত ৫০ নারীকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। জানুয়ারির ১২ ও ১৩ তারিখে দেশটির উত্তরাঞ্চলের সৌম প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে।
অঞ্চলটিতে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (আইএসআইএল) ওরফে আইএসের উপস্থিতি থাকলেও এখনও কোনো গোষ্ঠী এর দায় স্বীকার করেনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ জানুয়ারি সৌম প্রদেশের লিকি গ্রামে কয়েকজন নারী বুনোফল কুড়াতে গেলে তাদের অপহরণ করা হয়।
পরেরদিন একই প্রদেশের আরিবিন্দা শহরের একটি অঞ্চল থেকেও একই কায়দায় আরও কিছু নারীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বুরকিনা ফাসো সরকার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা জানান, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সশস্ত্র কিছু গোষ্ঠী মিলে ছিনতাই নারীদের উদ্ধারে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু তা সফল হয়নি।
আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে মালিতে ২০১৫ সালে প্রথম আইএস নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয়। এরপর তা পার্শ্ববর্তী বুরকিনা ফাসোয় ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে পশ্চিম আফ্রিকার গরিব দেশ দুটির অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। ভেঙে পড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা।
বুরকিনা ফাসোয় গত আট বছরে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানচ্যুত হয়েছে ২০ লাখের মতো মানুষ।