নেপালের পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ৭২ আরোহী নিয়ে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬২ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বরতৌলা।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) কাঠমান্ডু থেকে পর্যটন শহর পোখারায় যাচ্ছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ‘৯ এন-এএনসি এটিআর-৭২’ মডেলের উড়োজাহাজটি। বিমানে ছিলেন চার ক্রুসহ ৭২ জন। সকালে উড়োজাহাজটি পোখারা বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে সেতি নদীর তীরে বিধ্বস্ত হয়।
বিষয়টি প্রথমেই নজরে আসে স্থানীয়দের। প্রাথমিক অবস্থায় সেখানে উদ্ধারকাজ শুরু করেন তারা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নেপালের ২০০ সেনা সদস্য।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল। সংশ্লিষ্টদের উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি আরও মরদেহ উদ্ধার হবে। বিমানটি ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে গেছে।’
উড়োজাহাজটিতে ৫৩ নেপালের আরোহী ছিলেন। এছাড়া পাঁচ জন ভারতীয়, চার জন রাশিয়ান এবং দুই জন কোরিয়ান ছিলেন। এছাড়াও আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের একজন করে ছিলেন।
নেপালে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় আগুন ধরে যায়। ওই ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন। এছাড়া গত মে মাসে ‘তারা’ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বিধ্বস্তে ২২ জন প্রাণ হারান। সূত্র: খবর বিবিসি