স্থানীয় সময় শনিবার ভোরে কিয়েভের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। ডিনিপ্রোভস্কি জেলায় বিস্ফোরণের দাবি করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।
কিয়েভে নতুন করে শক্তিশালী সিরিজ বিস্ফোরণের আগে বিমান হামলার সাইরেনের শব্দ পায় সেখানে থাকা রয়টার্সের সাংবাদিক। তাৎক্ষণিকভাবে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় কর্তৃপক্ষ। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের উপপ্রধান কিরিলো টিমোশেঙ্কো জানান, ‘একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কোন কোন জরুরি অবকাঠামোয় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে তা স্পষ্ট করতে পারেনি কিয়েভের সামরিক প্রশাসন। টেলিগ্রাম বার্তায় কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটস্কো জানিয়েছেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করেছে রাশিয়া। বিদায়ী বছরের অক্টোবর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। জরুরি স্থপনার মধ্যে রয়েছে, বিদ্যুৎ সেক্টর। তাদের হামলার কারণে ইউক্রেনের বহু মানুষ এখনও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। এতে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।
এদিকে সশস্ত্র ভাড়াটে যোদ্ধাগোষ্ঠী ওয়াগনারের পর এবার রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনের লবন খনির শহর সলেদার দখল করেছে রুশ বাহিনী। তাদের দাবি, একমাস দীর্ঘ যুদ্ধের পর তারা শহরটি দখল করেছে। তারা এই শহর দখলকে তাদের আক্রমণের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে উল্লেখ করেছে। যদিও ইউক্রেন বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। সূত্র: রয়টার্স