ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেছেন, ন্যাটো জোটের ডি ফ্যাক্টো সদস্যতে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। কারণ এক সময় যেসব পশ্চিমা দেশ ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা দিলে মস্কোর সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন তারা এখন তাদের ভাবনার ধারা পাল্টেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন।
বিবিসিকে রেজনিকভ বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমাদের কাছ থেকে ট্যাংক ও যুদ্ধবিমানসহ যেসব অস্ত্র চাইছে ইউক্রেন সেগুলো পাওয়া যাবে নিশ্চিত। কারণ ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়েই আগামী দিনগুলোতে নতুন আক্রমণের পরিকল্পনা করছে।
রেজনিকভ বলেন, উদ্বেগ হলো পরের ধাপের উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে। আমার কাছে এটি এক ধরনের প্রটোকল। দেশ হিসেবে এবং ইউক্রেনের সশস্ত্রবাহিনী ন্যাটোর সদস্যতে পরিণত হয়েছে। ডি ফ্যাক্টো কিন্তু আইনসম্মত নয়। কারণ আমাদের অস্ত্র রয়েছে এবং কীভাবে এগুলো ব্যবহার করতে হয় তা আমাদের জানা।
রাশিয়াকে দুর্বল করতে চাওয়া পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে ইউক্রেনে আক্রমণকে অভিহিত করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ কর্মকর্তারা দাবি করছেন, ইউক্রেনে তারা মূলত ন্যাটোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কারণ পশ্চিমারা দেশটিকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে। পশ্চিমারা রাশিয়ার আক্রমণকে আগ্রাসী যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করছে।
বেশ কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ২৮টি ইউরোপীয় দেশের সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের চেষ্টা করছে ইউক্রেন। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এমন পদক্ষেপকে রাশিয়ার জন্য নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দ্রুত ন্যাটো জোটের সদস্য হওয়ার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। তবে এটি স্পষ্ট নয় যে ইউক্রেনকে ন্যাটোর পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে কিনা। যদিও রুশবিরোধী লড়াইয়ে সামরিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে জোটটি।
ন্যাটো চুক্তির অনুচ্ছেদ ৫ অনুসারে, জোটের যেকোনও সদস্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আক্রমণকে জোটের ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইউক্রেন ন্যাটো জোটের ডি ফ্যাক্টো হওয়ার দাবি বিতর্কিত হবে কিনা জানতে চাইলে রেজনিকভ বলেন, কেন এটি বিতর্কিত হবে? এটি সত্য, এটি বাস্তব। আমি নিশ্চিত অদূর ভবিষ্যতে আমরা আইনসম্মত ন্যাটো সদস্য হব।