ইউক্রেনের সলেদার শহরে রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ লড়াই চলছে। শহরটি দখলে রাখতে সর্বশক্তি নিয়ে রাশিয়ার সামরিক অবস্থানে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা। সোমবার (১২ জানুয়ারি) সকালে তারা দাবি করেছে, সলেদারে হামলায় শতাধিক রুশ সেনা নিহত হয়েছেন।
পুরো ডনবাস অঞ্চলের লক্ষ্যে মস্কো শহরটি দখল করতে চাইছে। যদিও মঙ্গলবার রাশিয়ার আক্রমণের নেতৃত্বে থাকা রুশ ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনার দাবি করেছিল, তারা শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। কিন্তু কিয়েভের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের ৪৬তম সপ্তাহের শেষে দিকে এসেছে লবণ খনি সমৃদ্ধ শহর সলেদারে লড়াই তীব্র আকার নিয়েছে। কোনও পক্ষই ছেড়ে কথা বলছে না। মস্কোর আক্রমণের নেতৃত্বে দিচ্ছে রুশ ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনার। যারা বাখমুতসহ বিভিন্ন শহরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। মূলত বিদায়ী বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ইউক্রেন যুদ্ধে আলোচনা এসেছে সশস্ত্র ভাড়াটে গোষ্ঠীটি। এর প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন এক ঘোষণা দাবি করেছেন তারা সলেদারে সফল হয়েছে।
বাখমুতে উভয়পক্ষের সংঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি রণক্ষেত্রে ব্যর্থতার পর শহরটি দখল রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হতে পারে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদের গোষ্ঠীটির নাম ওয়াগনার গ্রুপ। ওয়াগনার গ্রুপকে প্রথম চিহ্ণিত করা হয়েছিল ২০১৪ সালে ইউক্রেনে। সেখানে তারা পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন দিচ্ছিল। তবে এর বাইরে সিরিয়া, মোজাম্বিক, সুদান ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকেও তারা বিভিন্ন তৎপরতায় জড়িত। পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি ক্রেমলিনের হয়ে কাজ করছে এই ভাড়াটে গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা।
সলেদারে রক্তক্ষয়ী লড়াই, শতাধিক রুশ সেনা হত্যার দাবি ইউক্রেনের
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা