আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) কাবুলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ক্ষমতাসীন তালিবানের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। অবশ্য কাবুলের পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় নিহতের সংখ্যা অন্তত পাঁচ। এ নিয়ে চলতি বছর আফগানিস্তানের রাজধানীতে দ্বিতীয় বড় হামলার ঘটনা ঘটল।
তালেবান পরিচালিত তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ওস্তাদ ফরিদুন বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ওই ব্যক্তি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে প্রবেশের পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু সে ব্যর্থ হয়। তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণে অন্তত ২০ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
সরকারি সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত করা একটি ছবিতে হামলার পর ওই এলাকায় অন্তত ৯ হতাহত ব্যক্তিকে মন্ত্রণালয়ের বাইরে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
কাবুল পুলিশের প্রধান মুখপাত্র খালিদ জাদরান বলেছেন, ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা দল মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি মৃতের সংখ্যা পাঁচ বলে উল্লেখ করেন। জাদরান জানান, বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে বিস্ফোরণটি ঘটে।
তালেবানের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এখনও এই বিস্ফোরণের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
এদিকে কাবুলের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব আফগানিস্তানের লেকচারার ওবায়দুল্লাহ বাহির বলেছেন, হামলার পর হতাহতের পরিসংখ্যানের এই অসঙ্গতি ‘দুঃখজনক’। তিনি আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘আমরা তালেবানদের আগেও এটা করতে দেখেছি। প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা অস্বীকার করলে সেটি শহরের নিরাপত্তায় কোনও কাজে লাগে না। সুতরাং, প্রশ্ন অনেক থাকলেও উত্তর সামান্য।’
বাহির আরও বলেছেন, বিস্ফোরণের ঘটনাটি অত্যন্ত উচ্চ নিরাপত্তা-সম্পন্ন এলাকায় ঘটেছে। তার ভাষায়, ‘এখানে একাধিক চেকপয়েন্ট রয়েছে। সেই রাস্তায় প্রবেশ করার জন্য আপনার নির্দিষ্ট নথি থাকতে হবে।’
আল জাজিরা বলছে, চীনের একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তালেবানদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা গেছে।
আফগান তথ্য ও সংস্কৃতি উপমন্ত্রী মুহাজের ফারাহি এএফপিকে বলেন, ‘আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীনা প্রতিনিধিদল আসার কথা ছিল, কিন্তু বিস্ফোরণের সময় তারা উপস্থিত ছিল কিনা তা আমরা জানি না।’