রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ একজন মিত্র বলেছেন, ইউক্রেনে এখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটের বিরুদ্ধে লড়ছে রাশিয়া। পশ্চিমারা চেষ্টা করছে বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্র থেকে রাশিয়াকে মুছে ফেলতে। মঙ্গলবার তিনি এসব কথা বলেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধকে আগ্রাসী ও উদ্ধত পশ্চিমাদের সঙ্গে অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে তুলে ধরছেন পুতিন। তিনি বলেছিলেন, রাশিয়া নিজেদের এবং জনগণকে যে কোনও আগ্রাসনের হাত থেকে রক্ষায় সম্ভাব্য সব উপায় কাজে লাগাবে।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি নিকোলাই পাত্রুশেভকে কূটনীতিকরা পুতিনের একজন ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখে আসছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে একাধিক ব্যর্থতার পরও ইউক্রেনে জয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে পাত্রুশেভ বলেছেন, ইউক্রেনের ঘটনা মস্কো ও কিয়েভের মধ্যকার সংঘর্ষ নয়, এটি রাশিয়া ও ন্যাটোর, সর্বোপরি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সামরিক সংঘাত।
তিনি বলেন, পশ্চিমারা রাশিয়াকে চূর্ণ করতে পরিকল্পনা করে যাচ্ছে, তারা চাইছে রাশিয়াকে বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে।
যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে ধ্বংস করতে চাইছে, এমন রুশ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্কতার সঙ্গে বলেছেন, রাশিয়া ও ন্যাটোর সংঘাত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করতে পারে।
পাত্রুশেভের মন্তব্যের বিষয়ে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেন সংঘাতে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র অংশ। এই সংঘাতে তারা পরোক্ষ অংশগ্রহণকারী হয়েছে আগেই। ইউক্রেনকে অস্ত্র, প্রযুক্তি, গোয়েন্দা তথ্যসহ অনেক কিছু সরবরাহ করছে তারা।
সাবেক সোভিয়েত গুপ্তচর পাত্রুশেভ ১৯৭০ দশক থেকে পুতিনকে চেনেন। তার মন্তব্য ক্রেমলিনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের চিন্তা-ভাবনার প্রকাশ বলে মনে করা হয়।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হলো বড় বড় করপোরেশনের একটি জোট। যারা দেশটিকে শাসন করে এবং বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। তারা আফগানিস্তান, ভিয়েতনাম ও মধ্যপ্রাচ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। বছরের পর বছর ধরে রাশিয়া অনন্য সংস্কৃতি ও ভাষাকে খাটো করার চেষ্টা করছে।