২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আসন হারাতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। একইসঙ্গে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আসন হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন সুনাকের মন্ত্রিসভার আরও ১৫ জন সদস্য।
নতুন একটি পোলিং ডেটা উদ্ধৃত করে এই তথ্য সামনে এনেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে রোববার (৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং তার মন্ত্রিসভার ১৫ জন মন্ত্রী ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিজেদের আসন হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে নতুন এক পোলিং ডেটায় দেখা যাচ্ছে।
ওই পোলিং ডেটা দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট সংবাদপত্রকে দেওয়া হয়েছে। ওই ডেটার তথ্য অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, উপ-প্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাব এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলেসহ সিনিয়র টোরি নেতারা ২০২৪ সালে নির্বাচনে পরাজয়ের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
বেস্ট ফর ব্রিটেনের ফোকালডেটা পোলিং অনুসারে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস, ব্যবসা বিষয়ক মন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস, কমন্স লিডার পেনি মর্ডান্ট এবং পরিবেশমন্ত্রী থেরেসি কফিও তাদের আসন হারাতে পারেন।
জরিপ অনুসারে ২০২৪ সালের নির্বাচনের পরে নিজেদের আসন আঁকড়ে থাকবেন মাত্র পাঁচজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী। তারা হচ্ছেন- জেরেমি হান্ট, ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান, মাইকেল গোভ, নাদিম জাওয়াই এবং কেমি ব্যাডেনোচ।
এছাড়া ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ‘বেলওয়েদার’ আসন সম্পর্কে দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের সাথে শেয়ার করা নতুন বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, লেবার পার্টি ১০টি আসন নিতে চলেছে।
আন্তর্জাতিকতাবাদী মূল্যবোধ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্য প্রচারণা চালানো বেস্ট ফর ব্রিটেনের প্রধান নির্বাহী নাওমি স্মিথ বলেছেন, ‘সুনাকের মন্ত্রিসভা নিশ্চিহ্ন হওয়ার চেয়ে কম কিছুর যোগ্য নয়’।
উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। এরপর অর্থনৈতিক চাপে থাকা দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন তিনি।
তবে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে সুনাক ইতোমধ্যেই তার রক্ষণশীল দলের চাপে পড়েছেন। আর তাই অনেকের মতে, ২০২৪ সালের নির্বাচন সুনাকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গত, ঋষি সুনাককে হারিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন লিজ ট্রাস। কিন্তু মাত্র দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগ করেন তিনি। এরপরই গত অক্টোবরে ৪২ বছর বয়সে ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক।