তাইওয়ানের চারপাশে আবারও চীনের সামরিক মহড়া

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

তাইওয়ান দ্বীপের চারপাশে আবারও সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। চীনা বাহিনীর এই মহড়া গত এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বার অনুষ্ঠিত হলো। এদিকে দ্বীপের চারপাশে দ্বিতীয় দফায় সামরিক যুদ্ধ মহড়ার জন্য চীনের নিন্দা জানিয়েছে তাইওয়ান।

এছাড়া তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা দ্বীপের চারপাশে ৫৭টি চীনা বিমান শনাক্ত করেছে। সোমবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

চীন মূলত গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে তার নিজস্ব ভূখণ্ড হিসেবে মনে করে এবং সেই দাবি জোরদার করার জন্য সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছে বেইজিং।

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড বলেছে, তার বাহিনী তাইওয়ানের আশপাশে সমুদ্র এবং আকাশসীমায় ‘যৌথ যুদ্ধ প্রস্তুতি টহল এবং প্রকৃত যুদ্ধ মহড়া’ করেছে। মূলত স্থল হামলা এবং সমুদ্র আক্রমণের ওপর ফোকাস করে এই মহড়া চালানো হয়।

- বিজ্ঞাপন -

রোববার রাতে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তারা আরও বলেছে, এই মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল যৌথ যুদ্ধের ক্ষমতা পরীক্ষা করা এবং ‘বহিরাগত শক্তি এবং তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করা।’

এদিকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় মহড়ার তীব্র নিন্দা করে বলেছে, চীন ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ করছে। তারা আরও বলেছে, তাইওয়ান প্রণালী এবং এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা তাইওয়ান ও চীন উভয়েরই দায়িত্ব।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। আর তা হলো- তাইওয়ান (চীনের সঙ্গে) বিরোধ বাড়াবে না বা বিরোধ উস্কে দেবে না। একইসঙ্গে নিজেদের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে তাইওয়ান।

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘দেশের সামরিক বাহিনী তাইওয়ান প্রণালী এবং আশপাশের এলাকার পরিস্থিতির ওপর গভীরভাবে নজর রাখে এবং শান্তভাবে সেসব কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া জানায়। তাই আমাদের জনগণ আশ্বস্ত থাকতে পারে।’

এদিকে সোমবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বীপের চারপাশে ৫৭টি চীনা বিমান এবং চারটি নৌবাহিনীর জাহাজ শনাক্ত করেছে তারা। যার মধ্যে ২৮টি বিমান তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলে উড়েছিল।

- বিজ্ঞাপন -

মন্ত্রণালয় বলছে, সেই ২৮টি বিমানের কয়েকটি আবার তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করে। এর আগে গত মাসের শেষের দিকে চীনের সামরিক বাহিনীর অনুরূপ মহড়ার সময় ৪৩টি চীনা বিমান মধ্যরেখা অতিক্রম করেছিল।

উল্লেখ্য, তাইওয়ান দ্বীপ নিয়ে ভূখণ্ডটির সঙ্গে চীনের দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বে চীনা মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। অবশ্য তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং।

২০২১ সালের অক্টোবরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছিলেন, মূল ভূখণ্ডের সাথে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ অবশ্যই সম্পূর্ণ করতে হবে। এজন্য সামরিক পথে অগ্রসর হওয়ার বিষয়টিও খোলা রেখেছে বেইজিং।

- বিজ্ঞাপন -

অন্যদিকে চীনের প্রদেশ নয়, বরং নিজেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে মনে করে থাকে তাইওয়ান। চীনা প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের জবাবে সেসময় তাইওয়ান জানায়, দেশের ভবিষ্যৎ তার জনগণের হাতেই থাকবে।

এছাড়া অস্ত্র বিক্রিসহ তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার কারণে নানা সময়ই বেইজিং বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছে।

অবশ্য বেশিরভাগ দেশের মতো তাইওয়ানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তবে ওয়াশিংটন এই দ্বীপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সরবরাহকারী এবং আন্তর্জাতিক সহয়তাকারী।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!