কাল্পনিক
সবকিছুই কাল্পনিক। আমিও একটি কাল্পনিক চরিত্র।
কল্পনার সঙ্গে আমার বিবাহ হয়েছে
অবাস্তব আমার সন্তান
আমার সমূহ ঘরদোর ঝিকিমিকি
কথাবার্তা আলো-অন্ধকার
এখানে কোথাও সত্যরা থাকে না
ধর্মরা ব্যবসা করে, মানুষ ঠকায়।
মাটির মানুষ
কোন্ নক্ষত্রের কী নাম দেওয়া যায়?
নাম কি সঠিক পরিচয়?
চলো, নাম পাল্টে নিই,
অথবা নামহীন হই
চলো, গোত্র পাল্টে নিই,
অথবা গোত্রহীন হই।
আমাদের পরিচয় নেই,
অথবা মাটির পরিচয়;
মাটির মানুষ শুধু, মাটি লিখে যাই।
বিচ্ছিন্নতা
প্রসন্নতা আজও আসবে না!
মরচেধরা বিবেকেরা চাবুক হাতে দাঁড়িয়ে আছে
সমুদ্র ফেনার মতো জমছে হতাশা
এই সেই নৌকাখানি আমার, আজ কোথাও ভাসাব না
তীরে এসে জুটেছে সম্পর্কিত বিশ্বাসের ছায়া
আমার ভঙ্গুর দিন দৈব-নিশিতে ডুবে যায়।
শয্যা জুড়ে নগ্ন চাঁদ
প্রগলভ মাংসল প্রেমে ছুটছে সবাই
ইশারা পেয়েছে ওরা, রাত্রিযাপনের চাবি দিয়েছে ওদের
সব দরজা খুলে গেলে ওদের শয্যা জুড়ে নগ্ন চাঁদ
মৈথুনের ঘ্রাণে ডুবে যাবে দেশ
বাইরে অনুজ্জ্বল শুধু প্রেমের কাহিনি
প্রদীপ জ্বালাবে মৃত্যুর পর।
বাজনা
কৃষি ব্যবস্থা ভালো নয়
তবু এমাটিতে বাজনা লেগে আছে
হৃদয় ছেঁকে গান তোলো
বৃক্ষছায়া কেঁদে উঠছে
চলো ছায়া কুড়িয়ে আনি
স্মৃতিরা মলিন বৃক্ষ
ছায়া তার নিগূঢ় কাহিনি
সমস্ত বিস্ময় চিহ্নে আকাশ ঝাঁপায়
পাখি ওড়ে নিসর্গের দিকে
নূপুর হারানো রাস্তায় আবছা আঁধার
এখনও খুঁজে যাই প্রতিধ্বনিকে
জীবননদী
দুঃখের নদী পেরিয়ে তবেই
আছে সুখের নদী
দুঃখের নদী অশ্রুমতী
সুখের নদী দারুণ হাস্যবতী।
আর কতদূর গেলে তবেই
ঠিকানা পাব তার
আর কত দুঃখের নদী
আমরা হবো পার!
সূর্য উঠছে, সূর্য ডুবছে
পাখির গানে ভোর
শীত-বর্ষা দেখতে দেখতে
এখন বেলা দ্বিপ্রহর।
নৌকা যদি একটি জীবন
প্রাণটি তবে মাঝি
জীবননদীর দুইটি স্রোত
আমরা সবাই পার হয়ে চলেছি।