মিয়ানমারে ৭ হাজারেরও বেশি কয়েদিকে মুক্তি দিল জান্তা

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমার আওতায় ৭ হাজার ১২ জন কয়েদিকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা। বুধবার দেশটির সরকারি টিভি চ্যানেল এমআরটিভিতে দেওয়া এক ভাষণে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং।

এছাড়া যেসব আন্তর্জাতিক শক্তির প্রভাবে গত দুই বছর ধরে সামরিক সরকার টিকে আছে মিয়ানমারে, ভাষণে তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জেনারেল হ্লেইং।

ভাষণে জান্তাপ্রধান বলেন, ‘মিয়ানমারের সাধারণ জনগণকে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। বিগত বিভিন্ন বছরের মতো এ বছরও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমার আওতায় কিছু সংখ্যক কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ বছরের স্বাধীনতা দিবসে ৭ হাজার ১২ জন কয়েদিকে মুক্তি দিয়েছে সরকার।’

পৃথক এক প্রতিবেদনে এমআরটিভি জানিয়েছে, যেসব কয়েদির বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, বিস্ফোরক মামলা, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক এবং দুর্নীতির মামলা আছে— তাদেরকে এই মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় রাখা হয়নি।

- বিজ্ঞাপন -

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে হঠিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামারিক বাহিনী। সুচিকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া মিন অং হ্লেইং হন নতুন সামরিক সরকারের প্রধান।

সুচির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও দিয়েছে সামরিক সরকার। রাজধানী নেইপিদোর এক সামরিক আদালতে চলছে সেসব মামলার বিচার।

এদিকে, অভ্যুত্থানের পরের দিন থেকেই বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী জনতা। রাজধানী নেইপিদোসহ ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে শুরু হয় সামরিক বাহিনীবিরোধী আন্দোলন।

আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে জান্তা দৃশ্যত সংযমের পরিচয় দিলেও পরে তা দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেয়। গত দুই বছরে মিয়ানমারে নিহত হয়েছেন আড়াই হাজারেও বেশি মানুষ।

বুধবারের ভাষণে জান্তাপ্রধান বলেন, ‘আজ দেশের স্বাধীনতা দিবসে আমি মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক মিত্রদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই। নানামুখী চাপ, সমালোচনা, হামলা সত্ত্বেও তারা আমাদের পাশে আছেন, সহযোগিতা করছেন— সেজন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’

- বিজ্ঞাপন -

‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, লাওস ও বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা ঘনিষ্টভাবে কাজ করছি এবং আমরা আশা করছি সীমান্তে স্থিতিশীলতা ও পারস্পরিক উন্নয়নের স্বার্থে ভবিষ্যতেও আমাদের এই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অক্ষুন্ন থাকবে।’

গত ৩০ ডিসেম্বর নেইপিদোর সামরিক আদালতে কথিত দুর্নীতির অভিযোগে অং সান সুচিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে জান্তা মুখপাত্রদের দাবি, স্বাধীন আদালতের সব রকম নিয়মনীতি মেনেই সুচির মামলাগুলোর বিচারকাজ চলছে।

সূত্র : রয়টার্স

- বিজ্ঞাপন -

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!