কানাডাতে আপাতত বাড়ির কেনার সুযোগ পাচ্ছেন না বিদেশিরা। স্থানীয় সময় রোববার থেকে আগামী দুই বছরের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
আবাসন সংকটের মুখে পড়া কানাডার নাগরিকদের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। তবে এই আইনের বাইরে থাকবেন উদ্বাস্তু এবং স্থায়ী বাসিন্দারা।
লাগামহীন বাড়ির দাম নিয়ন্ত্রণে জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পক্ষ থেকে গত ৮ এপ্রিল বাড়ি কেনায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়া হয়। পয়লা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হলো সে ঘোষণা।
ডিসেম্বরের শেষের দিকেও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তথ্য জানিয়ে ঘোষণা দেয়।
এতে বলা হয়, বিদেশিরা দুই বছরের জন্য শুধু শহরের বাড়িগুলো কিনতে পারবেন না। তবে গ্রীষ্মকালীন কটেজগুলোর মতো বিনোদনমূলক সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।
বাংলাদেশসহ অনেক দেশের নাগরিক কানাডায় দ্বিতীয় বসতি গড়ে তুলছেন অনেক বছর ধরেই। এই উদ্যোগে এবার লাগাম টানলো ট্রুডোর সরকার।
২০২১ সালে হিসেবে কানাডায় বাড়ির দাম বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। সঙ্গে বাড়ছে বাড়িভাড়া। এ অবস্থায় স্থানীয় নাগরিকরা যেন আবাসন খাতে আসতে পারেন, সে লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে কিছু পদক্ষেপ।
কানাডিয়ান রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ২০২২ সালের শুরুতে দেশটিতে একটি বাড়ির গড় দাম ৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার থেকে কমে ৪ লাখ ৬৫ হাজারে নেমে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কানাডায় বিদেশিদের বাড়ির মালিকানা পাঁচ শতাংশেরও কম। তাই সরকারের নিষেধাজ্ঞা তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। এ কারণে বাড়ির চাহিদা মেটাতে নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে বরং আরও আবাসন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গ তোলেন তারা।
কানাডার জাতীয় আবাসন সংস্থা কানাডা মর্টগেজ অ্যান্ড হাউজিং কর্পোরেশন গত জুনের একটি প্রতিবেদনে বলেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে প্রায় এক কোটি ৯০ লাখের মতো হাউজিং ইউনিট প্রয়োজন হবে। এর অর্থ হল প্রায় ৬০ লাখ নতুন বাড়ি তৈরি করতে হবে।