সম্প্রতি নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। নারীদের বাইরের যে কোনো কাজ, এমনকি ত্রাণ সহায়তা কাজেও বাধা দেওয়ার পরও এ খাতে সহায়তা প্রদান বন্ধ করবে না জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটিতে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রামিজ আলাকবারভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, জাতিসংঘ ও মানবিক সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আফগানিস্তানের জনগণকে জীবন রক্ষাকারী সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বৃহত্তর অর্থনীতির জোট জি-৭ তালেবানের নারীদের ব্যাপারে নেওয়া পদক্ষেপকে ‘বেপরোয়া ও ভয়ানক’ বলে মন্তব্য করেছে। এই বিবৃতির পর আলাকবারভ বলেন, আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা ‘অনেক বেশি’ প্রয়োজন।
নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে থাকা ও সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, সহায়তা প্রদান কোনো শর্তের ওপর হতে পারে না। রামিজ আলাকবারভ আরও বলেন ‘ক্ষুধার্ত ব্যক্তি কিংবা মৃত্যুপথযাত্রীকে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দিতে আপনি শর্তারোপ করতে পারেন না।’
নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ করাসহ বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে তালেবানের সঙ্গে আগামীতে আলোচনা করার কথাও বলেন তিনি। জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী ও জাতিসংঘের অন্যান্য কর্মকর্তারা দেশটির তালেবান শাসকদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে আফগানিস্তান সফর করবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ধারণা তালেবানের ওপর চাপ প্রয়োগ করে কোনো সমাধান হবে না বরং সংলাপে বসতে হবে।’
সম্প্রতি তালেবান সরকার আফগানিস্তানে দেশি-বিদেশি সব এনজিওতে নারীদের কাজ বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশটিতে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ছয়টির মতো বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা এনজিও।
সূত্র: এনডিটিভি