ইউক্রেনের বিমান ভূপাতিত করার ঘটনাটি তদন্ত করে বিষয়টির সুরাহা করতে ইরানকে অনুরোধ করেছে কানাডা, সুইডেন, ইউক্রেন এবং যুক্তরাজ্য।
ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পিএস৭৫২ ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি তেহরান থেকে উড্ডয়নের পর মিসাইল হামলার শিকার হয়। দুটি মিসাইল আঘাত হানলে বোর্ডে থাকা ১৭৬ জনের সবাই মারা যায়। তিনদিন পর ভুল করে বিমানটি ভূপাতিত করার কথা স্বীকার করে ইরান।
কানাডার নেতৃত্বে চার দেশের একটি দল মঙ্গলবার ইরান সরকারকে বিষয়টি তদন্ত করে সুরাহা করার আহ্বান জানায়। জানিয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে ‘দৃঢ় পদক্ষেপ’ নিচ্ছে তারা।
এই চার দেশ নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে ইরান সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছে। কারণ নিহতদের মধ্যে অনেকেই ওইসব দেশের নাগরিক বা বাসিন্দা ছিলেন।
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসকে ‘বেআইনি এবং ইচ্ছাকৃতভাবে’ বিমানটিতে দুটি ‘সারফেস টু এয়ার’ মিসাইল ছোড়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
ইরান সে সময় এ ঘটনার বিষয়ে বলেছিল, ‘তখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা চরমে ছিল। ইরাকে আমেরিকান সেনাদের সহায়তায় তৈরি দুটি সেনাঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়েছিল ইরান। এর পর বিমান প্রতিরক্ষা উচ্চ সতর্কতায় ছিল। তাই ভুলক্রমে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।’
বুধবার প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে চার দেশ ‘বেসামরিক বিমান চলাচলের হুমকির বিষয়ে ১৯৭১ সালের বহুপাক্ষিক চুক্তির অধীনে ফ্লাইট পিএস৭৫২-এর ভূপাতিত সম্পর্কিত বিরোধের বাধ্যতামূলক সালিসি করার জন্য ইরানকে অনুরোধ করেছে।
‘ইরানকে তার আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা একাধিকবার লঙ্ঘনের দায়বদ্ধ রাখতে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফ্লাইটের ৮৫ যাত্রী কানাডার নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বুধবার টুইট লেখেন, ‘পিএস৭৫২-এর বিপর্যয়ে যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তারা সবাই ন্যায়বিচার পাওয়ার আধিকার রাখে।’
‘ন্যায়বিচার পেতে আন্তর্জাতিক মন্ডলে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা। ইরানকে এই ট্র্যাজেডির জন্য দায়ী করতে একজোট হয়ে কাজ চালিয়ে যাব।’