যুক্তরাষ্ট্রে তুষার ঝড় ও মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৪ জন। তাছাড়া, ঝড়ের কারণে কয়েকদিন ধরে একপ্রকার থেমে আছে দেশটির জনজীবন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানায়, ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউ ইয়র্কের বাফেলো শহর ও শুধু এখানেই মারা গেছেন সাতজন।
ঝড়ের প্রভাবে বাফেলোর বেশকিছু জায়গা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে রোববার থেকে ওইসব এলাকায় ধীরে ধীরে বিদ্যুৎসংযোগ চালু করা হয়েছে।
তবে ঝড়ের কারণে এখনো স্বাভাবিক হয়নি দেশটির বিমান চলাচল। অসংখ্য ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় পরিবারের সঙ্গে বড়দিন উদযাপনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অনেকেই।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল বলেছেন, এবারের ঝড় বাফেলোর ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হিসেবে লেখা থাকবে।
বাফেলোর এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শহরটিতে যে সাতজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গাড়ির ভেতর ও তুষারাবৃত রাস্তা থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
বাফেলো ছাড়াও ভেরমন্ট, ওহাইও, মিসৌরি, উইসকনসিন, কানসাস ও কলোরাডোতে ঝড়- ঠাণ্ডায় মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা পড়েছে পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য মন্টানাতে। এখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নিচে নেমে গেছে।
এ তুষার ঝড়ের তীব্র প্রভাব পড়েছে পাশের দেশ কানাডাতেও। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্য লাগোয়া কানাডার বিভিন্ন অংশেও হয়েছে ভারি তুষারপাত।
ঝড়ের কারণে কানাডার কিউবেক ও ওন্টারিও প্রদেশের জনজীবনও স্থবির হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, রোববার (২৫ ডিসেম্বর) কিউবেকের ১২ হাজার মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎসংযোগ স্বাভাবিক হতে কয়েকদিন সময় লেগে যেতে পারে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) তুষার ঝড় ও ঠান্ডার কবলে দেশ দুটিতে কয়েকদিনে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। একই দিনে জাপানের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন অংশে ভারি তুষারপাতে অন্তত ১৩ জন প্রাণ হারান, আহত হন ৮০ জনেরও বেশি।