এক সপ্তাহ আগেই শেষ হলো ৩২ দলের বিশ্বকাপ ফুটবলের মহারণ। টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছরের অপেক্ষার পর বিশ্বকাপ ট্রফি পেলো আর্জেন্টিনা। কাতারের লুসাইলে মেসি উঁচিয়ে ধরলেন ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ৬.১৭ কেজি ওজনের ট্রফি। তবে বিশ্বকাপ শুধু স্বর্ণের ট্রফির লড়াই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিপুল পরিমাণ অর্থও।
বিশ্বকাপজেতা আর্জেন্টিনা দল পেয়েছে ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪৪০ কোটি টাকা)। বিশ্বকাপ জয়ের এই আনন্দের মধ্যেই দেশের অর্থনীতির জন্য বড় একটি সুখবর পেলো আর্জেন্টিনা।
সেটা হলো, দুর্দশাগ্রস্ত অর্থনীতির দেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের আরেক কিস্তি পাচ্ছে তারা। এই দফায় ৬০০ কোটি ডলার পাচ্ছে তারা।
গত মার্চ মাসে আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি করার পর এ নিয়ে মোট ২৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার ঋণসহায়তা পেয়েছে দেশটি।
সব মিলিয়ে এই ঋণচুক্তির আওতায় আর্জেন্টিনার ৪৪ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার কথা বলে জানিয়েছে বুয়েনস এইরেস টাইমস।
এদিকে আইএমএফ বলেছে, আর্জেন্টিনা সরকার গত জুলাই মাস থেকে যে সংস্কার কর্মসূচি পরিচালনা করছে, তাতে তারা খুশি। এই সময়ে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে, বাণিজ্য হিসাবের উন্নতি হয়েছে ও সেই সঙ্গে বিদেশি মুদ্রার মজুতেরও উন্নতি হয়েছে।
তবে এত কিছুর পরও দুর্দশাগ্রস্ত অর্থনীতিকে সঠিক ফিরিয়ে আনতে আর্জেন্টিনার সরকারকে বেগ পেতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির মুদ্রা পেসোর দর এখনো অনেক নিচে। সরকারের নেওয়া ঋণ পরিশোধের সুদহার ৭৫%। অন্যদিকে, আর্জেন্টিনার মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪০% এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে।
এদিকে ডিসেম্বর মাসেই আর্জেন্টিনার মূল্যস্ফীতির হার ১০০%-এ উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।