যুক্তরাষ্ট্রে তুষার ঝড় ও অত্যাধিক ঠান্ডায় অন্তত ৩৪ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঝড়ের কারণে গত কয়েকদিন ধরে স্থবির হয়ে আছে দেশটির জনজীবন।
ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউ ইয়র্কের বাফেলো শহর। শুধুমাত্র এখানেই মারা গেছেন ৭ জন। ঝড়ের প্রভাবে বাফেলোর অনেক স্থান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। তবে বার্তা সংস্থা এপি রোববার (২৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
তবে বিমান চলাচল এখনো স্বাভাবিক হয়নি। ফলে বড়দিন উপলক্ষ্যে পরিবারের সঙ্গে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও অনেকে তা পারেননি।
ঝড়ের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, এর প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ দিকের রাজ্য টেক্সাস থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ কানাডাতেও।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল বলেছেন, ‘এবারের ঝড় বাফেলোর ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।’
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাফেলোতে যে সাতজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গাড়ির ভেতর এবং তুষারআবৃত রাস্তা থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বাফেলো ছাড়াও ভেরমন্ট, ওহাইও, মিসৌরি, উইসকনসিন, কানসাস এবং কলোরাডোতে ঠাণ্ডা ও ঝড়ে মানুষ মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা পড়েছে পশ্চিম দিকের রাজ্য মন্টানাতে। এ রাজ্যে তাপমাত্রা -৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নিচে নেমে গেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
অন্যদিকে কানাডার কিউবেক এবং ওন্টারিওর মানুষের জনজীবনের ওপরও প্রভাব ফেলেছে এ ঝড়। রোববার কিউবেকের ১২ হাজার গ্রাহকের ঘরে ছিল না বিদ্যুৎ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।
সূত্র: বিবিসি