যুক্তরাষ্ট্রে তুষারঝড়ে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ফলে বড়দিনের উৎসবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ঝড়টি অনেকটাই ঘূর্ণিঝড়ের তেজ নিয়ে পূর্ণমাত্রায় নিউইয়র্কের বাফেলো শহরে আঘাত হানে। এতে পুরো এলাকা সাদা চাঁদরে ঢেকে যায়। ফলে জরুরি অভিযান বাঁধার সম্মুখীন হয় এবং আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
সরকারি কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রজুড়েই মৃত্যুর সংখ্যা, গাড়ি দুর্ঘটনা, গাছপালা পড়ে যাওয়া এবং ঝড়ের অন্যান্য প্রভাব বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন। বাফেলোতেই অন্তত তিনজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু তুষারঝড়ের কারণে মেডিকেল টিম পৌঁছাতে না পাড়ায় তাদের জরুরি চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
গভীর তুষার, নিম্ন তাপমাত্রা ও দিনভর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বাফেলোর বাসিন্দাদের শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) তাদের ঘর থেকে বের হয়ে উত্তাপ পাওয়া যাবে এমন জায়গা খুঁজতে হয়েছে।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল বলেন, বাফেলো নায়াগ্রা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সোমবার সকাল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এবং শহরের প্রায় প্রতিটি ফায়ার ট্রাক তুষারে আটকা পড়েছে। আমাদের যতই জরুরি যানবাহন থাকুক না কেন, সেগুলো আমাদের কথামতো কাজ করতে পারবে না।
ভয়াবহ তুষারঝড় ও হিমশীতল ঠাণ্ডায় মেইন থেকে সিয়াটল পর্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। একটি প্রধান বিদ্যুৎ গ্রিড অপারেটর পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৬৫ মিলিয়ন মানুষকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয় সতর্ক করেছে।