চীনে যে ভয়ঙ্কর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ফের করোনাভাইরাসকে ত্রাসে পরিণত করেছে, সেই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে ভারতেও। গত কয়েক মাসে ভারতে মোট ৪ জন এই নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জন গুজরাটের বাসিন্দা এবং দু’জন ওড়িশার বাসিন্দা। শুধু তাই নয়, শোনা যাচ্ছে রাজধানী দিল্লিতে আরও বেশ কয়েকজন এই নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে সরকার। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী জরুরি বৈঠকে বসছেন।
ভারতীয় সংসদে আজ বিবৃতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়। তিনি জানিয়েছেন কোভিড নিয়ে হঠাৎ উদ্ভুত পরিস্থিতির বিষয়ে কেন্দ্র কী কী পদক্ষেপ করেছে। পাশাপাশি রাজ্যগুলোকেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, চীনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। দেশের পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখছে সরকার। রাজ্যগুলোতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় স্তরে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় করোনা টিকা নেওয়ার জন্য নাগরিকদের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে হবে। উৎসবের মওসুমে দূরত্ববিধি মেনে চলা, মাস্ক এবং নিয়মিত স্যানিটাইজার ব্যবহারের করতে হবে। মহামারি এখনও শেষ হয়নি। কোভিড আমাদের শত্রু। সে প্রতিনিয়ত রূপ বদলাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেও জরুরি বৈঠকে বসছেন। নবান্নেও আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে দেওয়া কোভিড কমিটি মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বৈঠকে বসছে।
সূত্রের খবর, নতুন করে করোনার ছড়িয়ে পড়া রুখতে ফের টেস্টিং এবং বুস্টার ডোজ দেওয়ায় জোর দিতে চাইছে সরকার।
যদিও করোনা নিয়ে কেন্দ্রের এই সতর্কতার পিছনে রাজনীতি দেখছে কংগ্রেস। তারা বলেছে, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা বন্ধ করা এবং আগামী বছর যে ৯ রাজ্যের ভোট আছে, সেটা পিছিয়ে দেওয়ার জন্যই নতুন করে করোনা হাওয়া তুলে বাজার গরম করতে চাইছে সরকার।
কংগ্রেস বলছে, আগামী বছর যে ৯টি রাজ্যে ভোট তার বেশিরভাগে স্বস্তিতে নেই বিজেপি। সেকারণেই করোনার হাওয়া তুলে ভোট পেছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে।