চট্টগ্রাম টেস্টে পঞ্চম দিনে বাংলাদেশ পরাজয় মোটামুটি নিশ্চিতই ছিল। তবে, ক্রিকেট ভক্তরা চেয়েছিলেন ইনিংসটি আরও একটু লম্বা হবে। সেই আশায় যারা টিভির সামনে বসেছিলেন তারা হতাশই হয়েছেন।
জেতার জন্য শেষ দিনে ২৪১ রান প্রয়োজন ছিল স্বাগতিক বাংলাদেশের। হাতে চার উইকেট রেখে খেলতে নামা বাংলাদেশে সকালের শুরুতেই হারায় উইকেট। দিনের তৃতীয় ওভারেই শট খেলতে গিয়ে আউট হন মিরাজ। অন্যদিকে সাকিব টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করলেও আউট হয়ে গেছেন ৮৪ রানে। দুই বিশেষজ্ঞ ব্যাটারকে হারানোর পর পরই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে মিরাজের আউটের পর সাকিব রানের গতি বাড়িয়েছেন। টি-টোয়েন্টি মেজাজে হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন। আগের দিন কিছুটা রয়ে-সয়ে খেললেও রবিবার সকাল থেকেই আক্রমণ চালিয়েছেন বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরির মাইফলকে পৌঁছানো সাকিব থেমেছেন ৮৪ রানে। ৬৯ বলে ৪০ রান করে চতুর্থ দিন শেষ করেছিলেন মিরাজ। রবিবার ব্যাটিংয়ে নেমে বাকি ৪৪ রান করেন ৩৯ বলে। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় ৮৪ রান করেন সাকিব।
সাকিবের আউটের পর এবাদত দ্রুত বিদায় নেন। একই ওভারে ফ্লিক করতে গিয়ে শ্রেয়াস আইয়ারকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন এবাদত (০)। পরের ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বলে তাইজুল এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন (৪)। বাংলাদেশ হারলো ১৮৮ রানের বড় ব্যবধানে।৩২৪ রানে ইনিংস শেষ হওয়ায় বাংলাদেশ হারলো ১৮৮ রানের বড় ব্যবধানে।
চট্টগ্রাম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রানে অলআউট হয় ভারত। জবাবে খেলতে নেমে কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণি ও সিরাজের পেস তোপে পড়ে ১৫০ রানে অলআউট হয়। ফলোঅনে পড়লেও ভারত ব্যাটিংয়ে গিয়ে শুবমান গিল ও চেতশ্বর পূজারার জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৫৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। ৫১৩ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ থামলো ৩২৪ রানে।