প্রথমার্ধের জমজমাট লড়াইয়ের পর যে কেউই অনুমান করতে বাধ্য দ্বিতীয়ার্ধেও খেলা হবে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কিন্তু এমনটা আর হয়নি শেষ অর্ধে। এক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ক্রোয়েশিয়া দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই খেলেছে রক্ষণাত্মক। আর আফ্রিকান প্রতিনিধিরা আক্রমণে বারবার ভীতি ছড়িয়েও ফিনিশিংয়ের অভাবে পায়নি জালের দেখা। তাতে তৃতীয় হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করল ক্রোয়েশিয়া।
কাতারের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মরক্কোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। ক্রোয়েটদের হয়ে ম্যাচের দুটি গোল করেছেন ইয়োস্কো গাভারদিওল ও অরসিচ। মরক্কানদের একমাত্র গোলটি এসেছে আশরাফ দারির পা থকে।
১৯৯৮ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়ার ২৪ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে তৃতীয় হলো ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ তৃতীয় হওয়ার রেকার্ডটা অবশ্য চারবারের বিশ্বসেরা জার্মানির। চারবার তৃতীয় হয়ে বাড়ি ফিরেছে তারা।
প্রচন্ড গতির খেলায় ম্যাচের সপ্তম মিনিটে লিড পেয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। লুকা মদ্রিচের ফ্রি কিক ফাঁকায় পেয়ে ইভান পেরিসিচ হেডে বল বাড়ান বক্সের সামনে। সেখান থেকে ডাইভিং হেডে বল জালে জড়ান ডিফেন্ডার ইয়োস্কো গাভারদিওল।
আসরের চমক মরক্কো ক্রোয়েশিয়াকে চমকে দিতে খুব বেশ সময় নেয়নি। গোল খাওয়ার দুই মিনিটের মধ্যেই সেটা পরিশোধ করে ফেলে আফ্রিকান দলটি। নবম মিনিটে গোলমুখে হেড করে সমতা ফেরান আশরাফ দারি। জাতীয় দলের হয়ে এটাই তার প্রথম গোল।
এরপর প্রায় ১৫ মিনিট আক্রমণে আধিপত্য ধরে রেখেও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল পায়নি মরক্কো। ধাক্কাটাও খেয়েছে আগের মতোই। ৪২তম মিনিটে মিসলাভ অরসিচের দারুণ নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় ক্রোয়েটরা। ডি-বক্সের মুখে মরক্কো বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে সতীর্থের পা ঘুরে বক্সের ডান দিকে পেয়ে যান অরসিচ। প্রথম ছোঁয়ায় নেন কোনাকুনি শট, বল দূরের পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা হয়েছে ম্যাড়মেড়ে। লিড নিয়ে এগিয়ে থাকায় শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক খেলেছে ক্রোয়েশিয়া। তবে ক্রোয়েটদের দূর্গভেদের চেষ্টাটা কম করেনি মরক্কানরা। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে বারবার পরাস্ত হয়েছে দলটি। অতিরিক্ত সময়ে ইউসেফ এন নেসরির হেডটা একটুর জন্য গোলপোস্টের উপর দিয়ে গেলে শেষ আশা হারায় মরক্কো। চতুর্থ হয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।