মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের সংলগ্ন প্রদেশ সেলেঙ্গরের একটি ক্যাম্পিং এলাকায় ভূমিধসের পর এখন পর্যন্ত সেখান থেকে ৫ জন শিশু ও ১২ জন নারীসহ মোট ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির দমকল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সেলেঙ্গরের পাহাড়ি এলাকার জনপ্রিয় ওই ক্যাম্পিং এলাকায় ভূমিধস হয়। রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে এলাকাটির দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। নাগরিক কোলাহলমুক্ত জীবনের স্বাদ নিতে সেলেঙ্গরের ‘ফাদার্স অর্গানিক ফার্ম’ নামের একটি অর্গানিক খামারের মালিকানায় থাকা প্রায় এক একর আয়তনের ওই ক্যাম্পিং এলাকায় প্রতি বছর শীতের মৌসুমে অনেকেই ক্যাম্পিংয়ের উদ্দেশ্যে আসেন। তাদের মধ্যে অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়েও আসেন।
সেলেঙ্গরের দমকল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানান, ভূমিধসে ওই অর্গানিক খামারসহ গোটা ক্যাম্পিং এলাকা মাটির প্রায় ১০০ ফুট গভীরে দেবে গেছে।
এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার সময় নারী ও শিশুসহ মোট ৯৪ জন মানুষ ছিলেন ওই ক্যাম্পিং সাইটটিতে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬১ জনকে জীবিত এবং ২১ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ১২ জন এখনও নিখোঁজ। আমাদের উদ্ধার তৎপরতা জারি আছে।’
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, ভূমিধসের পর থেকে দমকল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রায় ৪০০ কর্মী ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই ফাদার্স অর্গানিক ফার্মের মালিকের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার স্থানীয় সরকার ও উন্নয়নমন্ত্রী এনগা কোর মিং বলেন, সরকারের কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই নিজের খামারে ক্যাম্পিং সাইট খুলে বসেছিলেন ওই ব্যক্তি। খামারের মালিককে গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
পাশপাশি, আগামী সাতদিন দেশের নদীর তীর, পাহাড়ি এলাকার সকল ক্যাম্পিং সাইট বন্ধ থাকবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মন্ত্রী।