ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার নিষেধাজ্ঞায় বাছাইপর্ব উতরেও কাতার বিশ্বকাপে খেলা হয়নি রাশিয়ার। এবার ২০২৪ সালের অলিম্পিকে রাশিয়া এবং বেলারুশকের খেলোয়াড়দের যোগ দিতে দেওয়া হবে কি-না, তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি কোনোভাবেই অলিম্পিকে রাশিয়ার যোগদান মেনে নেবেন না। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান টমাস বাখের সঙ্গে আলোচনার পর এ কথা জানান জেলেনস্কি।
এর আগেই বাখ জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের অলিম্পিকে রাশিয়া এবং বেলারুশের যোগদান নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। স্পোর্টস গভর্নিং বডিগুলোকে পাঠানো অলিম্পিক কমিটির নির্দেশনায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য রাশিয়া এবং বেলারুশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই দেশ দুটির খেলোয়াড়রা আপাতত কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না।
কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, রাশিয়া এবং বেলারুশের অ্যাথলেটরা নিরপেক্ষ পতাকা ব্যবহার করলে অলিম্পিকে যোগ দিতে পারেন। এদিকে, জেলেনস্কি এখন বলছেন, মস্কো যখন যুদ্ধ চালাচ্ছে, তখন এই নিরপেক্ষ পতাকার ধারণাটি অর্থহীন। রাশিয়া নিরপেক্ষ মানুষের বাঁচার অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, রাশিয়া এবং বেলারুশের অ্যাথলেটরা নিরপেক্ষ পতাকা ব্যবহার করলেও তাতে রক্তের দাগ লেগে থাকবে।
রাশিয়ার মতো “সন্ত্রাসী দেশ”কে কোনোভাবেই এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে দেয়া উচিত নয় বলে দাবি করেন জেলেনস্কি।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, রাশিয়া এবং বেলারুশের প্রতিযোগীরা নিরপেক্ষ পতাকা ব্যবহার করলে তাদের আপত্তি নেই। বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকে রাশিয়ার খেলোয়াড়রা দেশের অলিম্পিক পতাকা ব্যবহার করেছিলেন। বাখ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
(সূত্র ডয়চে ভেলে)