আট বছর আগে মারাকানায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরেরবার দলকে নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের বাঁধা টপকাতে ব্যর্থ হন। পঞ্চমবারের চেষ্টায় পারবেন কিনা লিওনেল মেসি এ নিয়ে সমালোচকদের মনে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল।
সব সমালোচনা ও প্রশ্নের জবাব দেয়া থেকে আর এক ম্যাচ দূরে আর্জেন্টিনার তালিসমান। সেমিফাইনালে আরও এক ক্ল্যাসিক পারফরম্যান্সে দলকে নিয়ে এসেছেন ফাইনালে।
কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হারের বিপর্যয় কাটাতে সবচেয়ে বেশি যার দিকে তাকিয়ে ছিল দল, সেই মেসিই দলকে উদ্ধার করেছেন বারবার।
মেক্সিকোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার গতিপথ পালটে দেয়া গোল, পোল্যান্ডের বিপক্ষে নিঁখুত প্লে-মেকিন, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আরও দুটি গোল। সবমিলিয়ে আর্জেন্টিনার শেষ চারের যাত্রা ছিল মেসিময়।
সেমিতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। একাধিক নতুন রেকর্ডের জন্ম দেয়ার পাশাপাশি দুর্দান্ত ফুটবলে ভেলকিতে ম্যাচ বের করে নিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার ধরাছোঁয়া থেকে।
সেমিফাইনালে মাঠে নেমেই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলারে পরিণত হন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। জার্মানির সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লোথার ম্যাথেউসের সমান ২৫ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। ফাইনালে মাঠে নামলেই টপকে যাবেন ম্যাথিউসকে।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোল করে বিশ্বকাপে মোট ১১টি গোলের মালিক হন মেসি। এতে করে আর্জেন্টিনার পক্ষে আগের সর্বোচ্চ গোলদাতা গাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে ছাড়িয়ে যান তিনি। বাতিস্তুতার গোল ছিল ১০টি।
তার সামনে আছেন পেলে। ফুটবল সম্রাটের গোলসংখ্যা ১২টি। ফাইনালে গোল পেলে পেলের পাশে বসবেন মেসি।
তবে, রোববারের ফাইনালে গোলের চেয়ে আরাধ্য শিরোপার দিকেই যে তার চোখ থাকবে সেটা নিশ্চিত। ফাইনালে গোল কিংবা ব্যক্তিগত রেকর্ডের চেয়ে বিশ্বকাপের ট্রফিটা জিততেই শেষবারের মতো নামবেন মেসি।