বাংলাদেশে সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ ১০ দফা দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগ জমা দিয়েছেন বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য (এমপি)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সিরাজ। তিনি জানান, দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে বিএনপির সংসদ সদস্যরা তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) গোলাপবাগ মাঠে দলের সমাবেশে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।
পদত্যাগকারী সংসদ সদস্যরা হলেন- মো. জাহিদুর রহমান, ঠাকুরগাঁও-৩; মো. মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৪; গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৬; মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২; মো. হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩; আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩; এবং রুমিন ফারহানা, মহিলা সংরক্ষিত আসন।
এর মধ্যে আব্দুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় এবং হারুনুর রশিদ বিদেশে থাকায় অনুপস্থিত রয়েছেন।
বেলা ১১টায় সংসদে প্রবেশের সময় রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা শনিবারই আমাদের পদত্যাগপত্র ই-মেইলের মাধ্যমে জমা দিয়েছি। এখন আমরা পদত্যাগপত্র জমা দিতে যাচ্ছি।”
শনিবার গোলাপবাগের দলীয় সমাবেশে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, “সংসদ সদস্যরা ই-মেইলের মাধ্যমে তাদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন এবং রবিবার সংসদের স্পিকারের কাছে শারীরিকভাবে তা জমা দেওয়া হবে।”
বিএনপির এই নেত্রী আরও বলেন, “আমরা এমপি হয়ে লাভবান হচ্ছি না। আমরা কতটা জায়গা পাই সেটা দেখার জন্য সংসদে যোগ দিয়েছি। কিন্তু সব একই, এমপি হওয়া বা না হওয়া, তাই আমরা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছি।”
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। সেই নির্বাচনে তাদের ছয়জন বিজয়ী হন, নারী আসন পায় আরও একটি। পরবর্তীতে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে সংসদে না যাওয়ার ঘোষণা দেন দলটির সংসদ সদস্যরা। পরে সিদ্ধান্ত বদলে শপথ নেন দলটির সংসদ সদস্যরা।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ৬৭(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো সংসদ সদস্য স্পিকারের কাছে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদত্যাগ করতে পারবেন, এবং স্পিকার কিংবা স্পিকারের পদ শূন্য থাকলে বা অন্য কোনো কারণে স্পিকার স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে ডেপুটি স্পিকার যখন ওই পত্র পাবেন, তখন থেকে ওই সদস্যের আসন শূন্য হবে।