পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ২০০২ সালে দিবসটি ঘোষণা করে, আর ২০০৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এই দিবস পালিত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস ২০২২-এর থিম বা প্রতিপাদ্য হল: মহিলারা পর্বতদের চালান বা দেখাশোনা করেন।
‘পর্বত ডাকছে, আমাকে অবশ্যই যেতে হবে।’- প্রকৃতিবিদ ও স্কটিশ-মার্কিন লেখক জন মুইর।
প্রকৃতিপ্রেমী মুইর নিশ্চয়ই পর্বতের ডাক শুনতে পেতেন। মুইরের মতো আপনি যদি প্রকৃতির প্রতি সহানুভূতিশীল হন আর আপনার থাকে সংবেদনশীল হৃদয়, তাহলে *আপনিও শুনতে পাবেন সেই ডাক।
অদ্ভুত রহস্যের প্রতিশব্দ যেন পর্বত। বিশাল শরীর নিয়ে রাজসিক ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকে। তার অনমনীয় উচ্চতা যেন অপার আকাশকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। অথচ নিজে কী ভীষণ শান্ত, স্থির। পর্বতের পাদদেশে দাঁড়িয়ে নিজেদের বড্ড ক্ষুদ্র মনে হয়।
আর যাঁরা জয় করেন আকাশসম এই পর্বতচূড়া, তাঁদের অনুভূতিটা ঠিক কেমন হয়! নিশ্চয় কোনো পর্বতারোহীর কাছে তা জেনে নেওয়া যাবে।
পরিবেশ নিয়ে সারা বিশ্বই এখন বেশ সোচ্চার। আর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়-পর্বত প্রকৃতির অপরিহার্য উপাদান। পৃথিবীর প্রায় ১০ ভাগের ১ ভাগ মানুষ বাস করে পার্বত্য অঞ্চলে।
পৃথিবীর প্রয়োজনীয় মিঠাপানির প্রায় অর্ধেক সরবরাহ করে পর্বতমালা। উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতের অভয়ারণ্য হিসেবে পর্বতের পরিচিতি।
পার্বত্য অঞ্চলে পরিবেশ সুরক্ষায় এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে মহিলারা মূল ভূমিকা পালন করে থাকেন।
প্রায়শই তারাই পার্বত্য সম্পদের ব্যবস্থাপকের কাজ, জীববৈচিত্র্যের অভিভাবক, ঐতিহ্যগত জ্ঞানের ধারক, স্থানীয় সংস্কৃতির রক্ষক ও পরম্পরাগত ঔষধের বিশেষজ্ঞের কাজ করে থাকেন।
কত উঁচু তুমি
এত নিচুতে আমি
দুর্নিবার আকর্ষণ তোমার
তাইতো স্পর্ধা তোমাকে ছোঁয়ার
শিখর তোমার করতে আরোহণ
বিশ্ব জুড়ে দুর্দম্য প্রচেষ্টা অনুক্ষণ
মাথা উঁচিয়ে উদ্ধত অবস্থান তোমার
শাসন যেন কেউ না করে অস্বীকার
সুদৃঢ় উচ্চতা নিয়ে বিশাল বিস্তৃতি তোমার
প্রকৃতির সৌন্দর্যকে করেছো অপরূপ অপার
তোমাতে অন্তহীন বিমুগ্ধতা
আমাদের অন্তরে জাগায় সৌন্দর্যপ্রিয়তা
তোমার সুদৃঢ় উচ্চতা
আমাদের দেয় মানসিক দৃঢ়তা।
লেখক: শ্যামল সাহা