ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মানদৌস। এতে তামিলনাড়ু রাজ্যে অন্তত চারজনের প্রাণহানি হয়েছে। উপকূলে আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭৫ কিলোমিটার। যদিও ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আছড়ে পড়ার পর দুর্বল হয়ে যায়। খবর এনডিটিভির।
চেন্নাইয়ের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেখানে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তাছাড়া শত শত গাছ উপড়ে গেছে। এক্ষেত্রে এরই মধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মানদৌস’ দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। এটি শুক্রবার রাতে ভারতের উত্তর তামিলনাড়ু, পুন্ডুচেরি এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করাতে পারে বলে জানানো হয়েছিল।
বাংলাদেশের চারটি সমুদ্রবন্দরেও ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রাখা হয়েছিল। তবে এটি দেড় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে থাকায় বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও আগেই জানায় আবহাওয়াবিদরা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৮) জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মানদৌস’ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি শুক্রবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল।
অবশেষে সব শঙ্কা কাটিয়ে তামিলনাড়ুতে শুক্রবার গভীর রাতে আঘাত হানে মানদৌস। মূলত ভারতের দক্ষিণাঞ্চলজুড়েই এর প্রভাব পড়েছে। অনেক জায়গায় পানিতে তলিয়ে গেছে। এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বহু এলাকা।