বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলার উস্কানি ও পরিকল্পনার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পল্টন থানায় গত ৮ তারিখে করা মামলায় ওনাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পুলিশের ওপর বর্বরোচিত হামলা, জানমালের ক্ষতি- এসব অপরাধের উসকানিদাতা এবং পরিকল্পনাকারী ছিলেন ওনারা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আর কেউ যদি এরকম অপরাধ করে তারাও আমাদের নজরদারিতে থাকবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
জানা গেছে, আট ঘণ্টারও বেশি সময় আটকের পর নিয়ম অনুযায়ী বিএনপির দুই নেতাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। তারা এখন পল্টন থানা হেফাজতে আছেন। তাদের হাজির করা হবে আদালতে।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাসকে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ডিবি পুলিশের একটি দল উত্তরার বাসা থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে। ডিবির কর্মকর্তারা ‘ওপরের নির্দেশ’ আছে বলে তাকে নিয়ে যায়।
প্রায় কাছাকাছি সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, মির্জা আব্বাসকেও শাহজাহানপুরের বাসা থেকে ডিবি পুলিশের সদস্যরা নিয়ে গেছে। রাত সোয়া ৩টার দিকে তাকে তুলে নেওয়া হয়।
রাত ৪টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বশীল সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স নিশ্চিত করে, বিএনপির মহাসচিব ও মির্জা আব্বাসকে ডিবি অফিসে নেওয়া হয়েছে।