পারিশ্রমিক চুক্তি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দরকষাকষিতে বনিবনা না হওয়ায় ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের কর্মীরা।
পত্রিকাটিতে ৪০ বছরের মধ্যে এমন আন্দোলন আগে দেখা যায়নি।
নিউ ইয়র্কের সংবাদকর্মীদের সংগঠন দ্য নিউজগিল্ড অফ নিউ ইয়র্ক ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের কর্মীরা জানান, গত বছরের মার্চে তাদের চুক্তি শেষ হয়। এরপর থেকে পারিশ্রমিক নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দরকষাকষি চলছিল।
দ্য নিউজগিল্ড অফ নিউ ইয়র্ক গত সপ্তাহে জানায়, দুই পক্ষ নতুন চুক্তিতে না পৌঁছালে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে নিউ ইয়র্কের সংবাদকর্মীদের ইউনিয়নের পক্ষ থেকে টুইটবার্তায় বলা হয়, কর্মীরা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে, যা চার দশকের মধ্যে প্রথম।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন চুক্তিতে পৌঁছাতে নিউ ইয়র্ক টাইমস কর্তৃপক্ষ ও কর্মীদের মধ্যে মঙ্গল ও বুধবার আলোচনা হয়, তবে পারিশ্রমিক বৃদ্ধি ও অফিসের বাইরে থেকে কাজ করার নিয়ম-নীতি নিয়ে একমত হতে পারেনি কোনো পক্ষ।
এই ধর্মঘটের কারণে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সংবাদ কাভারেজ কেমন প্রভাবিত হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে আন্দোলনকারীদের মধ্যে অনলাইন বিভাগের কর্মীরাও রয়েছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ার অফিসের সামনে র্যালির পরিকল্পনাও রয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের কর্মীদের।
সংবাদমাধ্যমটির মুখপাত্র ড্যানিয়েল রোডস জানান, আন্তর্জাতিক রিপোর্টার এবং ইউনিয়নের সদস্য নন এমন অন্য সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করে কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের হাজার কর্মীর স্বাক্ষর সংবলিত চিঠিতে নিউজগিল্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুই বছর ধরে দরকষাকষি চলছে। বছরের শেষ নাগাদ একটি ন্যায্য চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য সময় চলে এসেছে।
ওই চিঠিতে আরও জানানো হয়, ধর্মঘটের আগে কর্মীদের অতিরিক্ত সময় কাজ করিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। সেই সঙ্গে আন্দোলনের সময়টুকুর বেতন-ভাতা দেবে না বলেও জানিয়েছে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানটি।
পারিশ্রমিক ইস্যুতে গত বছরের আগস্টেও অর্ধদিবস আন্দোলন করেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের কর্মীরা।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের অর্থনীতি বিটের প্রতিবেদক এবং ইউনিয়নের প্রতিনিধি স্টেসি কাউলি জানান, চুক্তিতে ১০ শতাংশ পারিশ্রমিক বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে, যা গত দুই বছরের ঘাটতিকে পূরণ কবে।
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন চায় সুযোগ থাকলে চুক্তিতে কর্মীদের কিছু সময় অফিসের বাইরে থেকে কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়।’