মধ্য ইউরোপের দেশ জার্মানির গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে দিতে অভ্যুত্থান পরিকল্পনা করেছিল একটি দল। এর সঙ্গে জড়িত ২৫ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে জার্মান পুলিশ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বুধবার (৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উগ্র ডানপন্থি এবং অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা অভ্যুত্থান পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত। জার্মানির সংসদ ভবনে হামলা চালিয়ে ক্ষমতা দখলের ছক কষেছিলেন তারা। এ সব কিছুর মূল হোতা হলেন ৭১ বছর বয়সী হেনরিখ এইট নামের এক জার্মান নাগরিক।
জার্মানির নির্বাহী কৌঁসুলি জানিয়েছেন, পুরো দেশের ১১টি রাজ্যে অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযানে মূল অভিযুক্ত হেনরিখ এইটকেও আটক করা হয়েছে।
অভ্যুত্থান পরিকল্পনাকারীরা চরমপন্থী রেসবার্গার নামের একটি দলের সদস্য। উগ্র ও বর্ণবাদী কার্যক্রমের জন্য তাদের ওপর দীর্ঘ সময় ধরে নজর রাখছিল আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।
জার্মানিতে অভ্যুত্থান ঘটানোর পরিকল্পনার সঙ্গে প্রায় ৫০ জন জড়িত আছেন বলে জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলো। আধুনিক জার্মানির সরকারকে হটিয়ে ১৮৭১ সালের আলোকে সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা।
অভ্যুত্থান পরিকল্পনা ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জার্মানির আইন ও বিচারমন্ত্রী মার্কো বুশম্যান টুইটে লিখেছেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী বড় ধরনের অভিযান চলছে। জার্মানির সাংবিধানিক কাঠামোর ওপর হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।’
জার্মানির নির্বাহী কৌঁসুলি আরও জানিয়েছেন, ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে এ অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা চলছিল। এরসঙ্গে সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। তারা এলিট ফোর্সের সাবেক সৈন্যদেরও তাদের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন।
অভ্যুত্থান শেষে কিভাবে জার্মানির শাসন কার্যক্রম চলবে এ নিয়েও নিজেদের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেছিল তারা। এছাড়া তারা বুঝতে পেরেছিল, শুধুমাত্র উগ্র ও সন্ত্রাসী কায়দায় ক্ষমতা দখল সম্ভব। এ কারণে সেভাবেই চলছিল তাদের কার্যক্রম।
জার্মান রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জেডিএফ জানিয়েছে, সংসদের নিম্নকক্ষের একজন সাবেক সদস্যও এর সঙ্গে জড়িত আছেন। ক্ষমতা দখল করতে পারলে তিনি আইন ও বিচারমন্ত্রী হবেন সেটিও ঠিক করে ফেলেছিল উগ্রপন্থি দলটি।
সূত্র: বিবিসি