বিশ্বের বড় বড় বেশ কয়েকটি কোম্পানি হঠাৎ করেই কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ফেসবুকের মেটা, টুইটারের মতো কোম্পানিগুলো তাদের কর্মীদের বড় একটি অংশকে ছাঁটাই করে। এবার সেই তালিকায় যোগ দিতে যাচ্ছে মার্কিন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন। জানা গেছে, সব মিলিয়ে ২০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি কম্পিউটারওয়ার্ল্ড পোর্টালের বরাতে জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী অ্যামাজনের প্রায় ১৬ লাখ কর্মী রয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার জন চাকরি হারাবেন। যার মধ্যে থাকবে বিতরণ কর্মী, কর্পোরেট এক্সিকিউটিভ এবং প্রযুক্তি কর্মকর্তা।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানিয়েছে, অ্যামাজনের সব স্তরে ছাঁটাই হবে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, অ্যামাজন ১০ হাজার কর্মীকে চাকরিচ্যুত করার পরিকল্পনা করছে। যা কোম্পানিটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ছাঁটাইয়ের ঘটনা হতো। এখন শোনা যাচ্ছে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।
জানা গেছে, অ্যামাজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অন্য কর্মীদের ওপর নজর রাখতে বলেছে। মূলত ভালো কর্মী খুঁজে বের করার জন্য এমনটি করতে বলা হয়েছে। যেন ছাঁটাইয়ের মধ্যে তারা পড়ে না যান।
ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, যাদের ছাঁটাই করা হবে তাদের ২৪ ঘণ্টা আগে জানানো হবে এবং কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
এছাড়া ছাঁটাইয়ের বিষয়টি সামনে আসার পর কর্মীদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অ্যামাজন একটি নির্দিষ্ট বিভাগ এবং অঞ্চলের বেশিরভাগ কর্মী ছেঁটে ফেলার চিন্তা করছে। যা তাদের পুরো ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলবে।
অবশ্য ওই সূত্রটি জানিয়েছে, যাদের ছাঁটাই করা হবে তাদের করোনা মহামারির সময় নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় অনলাইনে পণ্য কেনাকাটা অনেকাংশে বেড়েছিল। তবে এখন অর্থ সাশ্রয়ের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে অ্যামাজন।
কয়েকদিন আগে জানা গিয়েছিল, বড়দিন সহ অন্যান্য ছুটির সময় অ্যামাজনে পণ্য বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায়। কিন্তু এবার কমেছে। এরপরই কর্মী ছাঁটাইয়ের চিন্তা-ভাবনা শুরু করে তারা।
সূত্র: এনডিটিভি