মিয়ানমারের উত্তর ইয়াঙ্গুনে একটি সড়কের পাশ থেকে ১৩ রোহিঙ্গা কিশোর ও যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৫ডিসেম্বর) সকালে ইয়াঙ্গুন শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে হেলেগু টাউনশিপের গ্রাম এনগওয়ে নান্ট থার কাছ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্টদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশন বলছে, মরদেহগুলো রোহিঙ্গা কিশোর ও যুবক।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, তাদের একটি গাড়িতে করে পাচার করা হচ্ছিল। এ সময় অক্সিজেনের অভাবে তারা মারা যায়।
মৃতদের বয়স ১৬ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তারা কেউ এই গ্রামের বাসিন্দা নয়।
তিনি বলেন, তারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। আমি শুনেছি রবিবার সকালে তাদের আরও ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরেকটি সূত্র জানায়, স্থানীয় নারীরা বাজারে যাওয়ার পথে ওই মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
সূত্র জানায়, মরদেহগুলো রোহিঙ্গাদের। এ কারণে মুসলিম স্বেচ্ছাসেবক ও অন্য স্বেচ্ছাসেবক দলকে খবর দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, মরদেহগুলো হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, “তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাদের মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা।”
তবে অন্য প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, নিহতদের মধ্যে অন্তত একজনের কপালে দাগ ছিল। একজনের পায়ে একটি দাগ ছিল। দেখে মনে হচ্ছে পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, আঘাতে তাদের চামড়া ছিঁড়ে গেছে, যেন তাদের মারধর করা হয়েছে। তারা অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে মারা যায়।
স্থানীয়দের ধারণা, পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য ও বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে পালাতে সাহায্য করার জন্য ভাড়া করে এনে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা দালালরা তাদের হত্যা করে থাকতে পারে।
সূত্র বলছে, “আমি শুনেছি দালালরা তাদের নিয়ে এসেছিল। তাদের চাওয়া টাকা না পেয়ে তাদের মারধর করেছে।”
মায়ানমারের সোম রাজ্যের স্থানীয় মিডিয়া জানায়, সোমবার সকালে কা মার ওয়েট ব্রোকে মোটরবোট থেকে শিশুসহ ৭৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।