চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকেই কম দামে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে ভারত। যদিও রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং সেটিকে পাশ কাটিয়েই চলছিল ভারতের তেল বাণিজ্য।
ভারতের দেখাদেখি একই পথে হাঁটতে চেয়েছিল পাকিস্তান। এ নিয়ে মস্কো সফরের পর সফলতা ধরা দিলো দেশটির হাতেও। অর্থাৎ পাকিস্তানের কাছে কম দামে তেল বিক্রিতে রাজি হয়েছে রাশিয়া। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া পাকিস্তানের কাছে ডিসকাউন্টে বা ছাড়কৃত দামে অপরিশোধিত তেল বিক্রি করবে বলে সোমবার পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন। সম্প্রতি এ বিষয়ে চুক্তির জন্য তিনি মস্কোতে পাকিস্তানের একটি সরকারি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং এর কয়েকদিনের মাথায় কমদামে রুশ তেল কেনার ঘোষণা দিলেন।
সোমবার ইসলামাবাদে দেশটির পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী মুসাদ্দিক মালিক বলেছেন, অপরিশোধিত তেল ছাড়াও পাকিস্তানের কাছে ছাড়কৃত দামে পেট্রোল ও ডিজেল সরবরাহ করবে রাশিয়া।
অবশ্য রাশিয়া কম দামে তেল বিক্রিতে রাজি হলেও ঠিক কতটা কমে বা ডিসকাউন্টে ইসলামাবাদের কাছে তেল দিবে তা নির্দিষ্ট করেননি মুসাদ্দিক মালিক। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে এই সপ্তাহ থেকে সমুদ্র পথে রাশিয়ান তেলের ওপর পশ্চিমাদের বেঁধে দেওয়া ব্যারেল প্রতি ৬০ মার্কিন ডলারের দাম এখানে কার্যকর হবে কিনা সেটিও নিশ্চিত করেননি তিনি।
সম্প্রতি সমুদ্র পথে রপ্তানিকৃত রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারে বেঁধে দেয় পশ্চিমা দেশগুলো। গতকাল সোমবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা। ফলে এখন থেকে পশ্চিমাদের সমুদ্র পথে আসা রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলার বা এর চেয়ে কম দামে কিনতে হবে।
তবে মস্কো বলেছে, পশ্চিমাদের মূল্য বৃদ্ধি মেনে চলা দেশগুলোর কাছে রাশিয়া তেল বিক্রি করবে না। এছাড়া পাকিস্তানের কাছে কম দামে তেল বিক্রির বিষয়েও রাশিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
সোমবার ইসলামাবাদে মুসাদ্দিক মালিক বলেন, তাদের (রুশ) সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার জন্য দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে পাকিস্তানকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এছাড়া ইসলামাবাদ ইতোমধ্যেই এলএনজি আমদানির বিষয়ে রুশ বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে।