আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তেল শ্রমিকদের বহনকারী একটি গাড়িতে বিস্ফোরণে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালের দিকে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বালখ প্রদেশের মাজার-ই-শরিফ শহরে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে।
বালখ প্রদেশের পুলিশের মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিফ ওয়াজেরি বলেছেন, আজ সকাল ৭টার দিকে বালখ প্রদেশে হাইরাতান বন্দরের তেল কোম্পানির কর্মীদের বহনকারী একটি বাসে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে সাতজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ছয়জন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি। ওয়াজেরি বলেছেন, বালখের এই বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়া সন্দেহভাজন অপরাধীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
‘রাস্তার পাশের একটি গাড়িতে বোমাটি রাখা ছিল। তেল কোম্পানির শ্রমিকদের বহনকারী বাসটি পৌঁছানোর পরপরই সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে,’ বলেছেন আসিফ ওয়াজেরি।
আফগানিস্তানের প্রধান শুষ্ক বন্দরগুলোর একটির অবস্থান বালখ প্রদেশের হায়রাতান শহরে; যা উজবেকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া। রেল এবং সড়কপথে মধ্য এশিয়ার সাথে যোগাযোগ রয়েছে হায়রাতানের।
তবে মঙ্গলবারের এই বিস্ফোরণের পেছনে কারা জড়িত তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। এছাড়া এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। গত বছরের আগস্টে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনীর বিদায়ে আফগানিস্তানে কয়েক দশকের যুদ্ধের অবসান ঘটে।
এরপর আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের সরকার বার বার নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিকের প্রতিশ্রুতি দিলেও দেশটিতে প্রতিনিয়ত হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গত মাসে সামানগান প্রদেশের আয়বাক শহরে একটি স্কুল বাসে বিস্ফোরণে অন্তত ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটে। এতে আহত হন আরও ২৪ জন। গত মে মাসে মাজার-ই-শরিফ শহরে সিরিজ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৯ জন নিহত হন। একই সময়ে রাজধানী কাবুলের একটি মসজিদে হামলায় দু’জন মারা যান।
আফগানিস্তানে তালেবানের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী স্থানীয় জঙ্গি সংগঠন আইএস-কে। এই গোষ্ঠীটি মাজার-ই-শরিফে হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে কাবুল বিস্ফোরণের দায় নেয়নি এই জঙ্গিগোষ্ঠী।
সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা।