সিরিয়ায় অভিযান পরিচালনার জন্য কারও কাছ থেকে অনুমতি নেবে না তুরস্ক। শুধু মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে আমরা কারও সম্মতি চাইবো না।’
ইব্রাহিম বলেন, সিরিয়ার বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি শুধু আঙ্কারার জন্যই নয় বরং ইরাক, জর্ডানসহ অন্য দেশগুলোর জন্যও হুমকিস্বরূপ। ইউরোপও এই হুমকির বাইরে নয়।
গত নভেম্বরে সিরিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। মূলত তুরস্কের কুর্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সিরীয় শাখাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে এই হামলা শুরু করে আঙ্কারা।
আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইব্রাহিম কালিন বলেন, কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে), কুর্দিশ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি) এবং ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন পার্টিকে (পিওয়াইডি) তুরস্কের বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, এই গোষ্ঠীগুলোর সামরিক স্থাপনা আমাদের জন্য বৈধ লক্ষ্যবস্তু। সেটি তুরস্ক অথবা সিরিয়ায় যেখানেই হোক না কেন।
ইব্রাহিম কালিন অভিযোগ করে বলেন, পিকেকে, পিওয়াইডি এবং ওয়াইপিজি অতীতে নিজেদের রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং সিরীয় সরকারের পতাকা ব্যবহার করেছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে ইস্তাম্বুলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পিকেকে গোষ্ঠীকে দায়ী করে আঙ্কারা। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। ওই বিস্ফোরণের পরই নতুন করে সিরিয়ার সীমান্ত এলাকায় কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে আঙ্কারা।