বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে মানুষ যেন ভুলেই গেছে! এ ধরনের উদাসীনতা ও অসচেতনতা করোনার আরও ভয়াবহ ভ্যারিয়েন্ট সৃষ্টির সুযোগ করে দিতে পারে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ নভেম্বর) সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ডব্লিউএইচওর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গেব্রিয়েসুস তার উদ্বেগের কথা জানান।
তিনি বলেন, মহামারির জরুরি অবস্থা থেকে উত্তরণের পর্যায়ে থাকলেও, এখনও আমরা পুরোপুরি রেহাই পাইনি। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকাদানে বিরতি বা ধীরগতি ভাইরাসটির নতুন ধরনের আগমনের পরিবেশ তৈরি করছে।
‘যদি নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্টের আগমন ঘটে, তাহলে সেটি আরও ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী হওয়ার সব সম্ভাবনা রয়েছে।’
গেব্রিয়েসুসস বলেন, করোনায় আক্রান্তদের একটি বড় অংশই মৃদু উপসর্গে ভোগেন। কিন্তু আমাদের এটা ভুললে চলবে না, আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাদের জন্য ভাইরাসটি প্রকৃত অর্থেই প্রাণঘাতী।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুও ঘটে চীনে।
২০২০ সালের শুরু থেকে খুব দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে ডব্লিউএইচও।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬৪ কোটি ৯২ লাখ ৪৫ হাজার ২৯২ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬১৬ জনের।
সূত্র: রয়টার্স