ক্যারিয়ারের একেবারে পড়ন্ত বেলায় চলে এসেছেন লুইস সুয়ারেজ ও এডিনসন কাভানি। ক্লাব ফুটবলে নিজেদের সোনালি সময় পেরিয়ে এসেছেন দুজনেই। ইতোমধ্যে ইউরোপিয়ান ফুটবলের পাঠ চুকিয়ে শৈশবের ক্লাব নাসিওনালে ফিরে গেছেন সুয়ারেজ। একই পথে হাঁটছেন কাভানিও। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তেমন সুবিধা করতে না পারায় নতুন ক্লাব খুঁজছেন। তেমন ফর্মে না থাকলেও অভিজ্ঞ এই দুই ফরোয়ার্ডকে বিশ্বকাপ দলে রেখেছিলেন উরুগুয়ে কোচ দিয়েগো অ্যালোন্সো।
বিশ্বকাপ জয়ে তাদের কেউ ফেভারিট না মানলেও ফেদে ভালভার্দে ও ডারউইন নুনেজদের নিয়ে গড়া তারুণ্যনির্ভর উরুগুয়ে দলটা আশা জাগানিয়া ছিল। তাই অন্তত নকআউট পর্বে যাওয়া সুয়ারেজ-কাভানিদের জন্য তেমন বিলাসী স্বপ্ন ছিল না। তবে আগের দুই ম্যাচে ম্যাড়ম্যাড়ে পারফরম্যান্সের পর নিজেদের শেষ ম্যাচে এসে ঝলক দেখালেও বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাতে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ঘানার জালে দুবার বল জড়িয়ে নকআউটের দিকেই এগোচ্ছিল উরুগুয়ে। তবে অন্য ম্যাচে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সব সমীকরণ ওলট-পালট করে দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দারুণ এক জয় তুলে নিয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের বিপক্ষে শেষ হাসি হাসে তারা। আর এতেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় উরুগুয়ের।
ম্যাচে হারলেও গ্রুপ ‘এইচ’ এর চ্যাম্পিয়ন হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাচ্ছে পর্তুগাল। আর উরুগুয়ের সমান চার পয়েন্ট ও গোল ব্যবধান সমান থাকলেও ফেয়ার প্লে-র সুবাদে পরের রাউন্ডে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে কান্না লুকাতে পারেননি সুয়ারেজ। টিভি ক্যামেরায় ভেসে ওঠে অশ্রুভেজা সেই মুহূর্তটি। তাকে জড়িয়ে ধরে শান্ত্বনা দেন সতীর্থরা। অবসরের কোনো ঘোষণা না দিলেও নিশ্চিতভাবেই জাতীয় দলের হয়ে ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্ট খেলে ফেললেন বয়সের ভারে নুঁইয়ে পড়া সুয়ারেজ ও কাভানি।
অবশ্য জাতীয় দলের ক্যারিয়ারে একেবারে খালি হাতে শেষ করছেন না এই দুই তারকা ফুটবলার। ২০১২ সালে প্যারাগুয়েকে হারিয়ে উরুগুয়ের হয়ে কোপা আমেরিকা জয়ের স্বাক্ষী ছিলেন তারা। তবে ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্ট থেকে হতাশাকে সঙ্গী করেই বিদায় নিতে হচ্ছে।